শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি ফেসবুক পেজ থেকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচারের অভিযোগে বিক্ষোভ মিছিল ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার (৬ জুলাই) রাতে শহরে বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। পরে শহীদ মিনার সংলগ্ন নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন নয়াবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান অভিযোগ করেন, “জনতার দলের একজন নেতা সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুর ‘এসকে টেলিভিশন’ নামে একটি নিবন্ধনবিহীন ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করছেন।”
তিনি দাবি করেন, সাঈদ আঙ্গুর একসময় আওয়ামী লীগের সহযোগিতায় নির্বাচনে অংশ নিয়েও এখন জনতার দলের ব্যানারে এলাকায় সক্রিয় হয়ে উঠেছেন। সেই কারণেই উদ্দেশ্যমূলকভাবে এই অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
মিজানুর রহমান আরও বলেন, “আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত। একসময় বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় হয়রানির শিকার হয়েছি। বর্তমানে বৈধভাবে ব্যবসা করে জীবিকা নির্বাহ করছি। অথচ তার তথাকথিত টেলিভিশনে মাদকসেবী ও চোরাকারবারীদের দিয়ে আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।”
তিনি সাঈদ আঙ্গুরের অতীত জীবন নিয়েও প্রশ্ন তুলে বলেন, “একসময় যিনি হোটেল বয় ও পকেটমার ছিলেন, এখন তিনি মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে চলেছেন।”
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আমিনুল ইসলাম জিন্নাহ, মোজাম্মেল হক, শহর বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ কাঞ্চন, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি হুমায়ুন কবীরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
অন্যদিকে, জনতার দলের যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মুহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুর বলেন, “এসকে টেলিভিশন ইতোমধ্যে স্যাটেলাইট লাইসেন্সের জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরে আবেদন করেছে এবং ই-ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করেছে। যার নম্বর TRAD/DNCC/041980/2024।” তিনি আরও দাবি করেন, “আমাদের কাছে মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে বলেই আমরা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছি।”