কুড়িগ্রামের ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মৃতি অম্লান রাখতে ‘জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ’ নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
এ উদ্দেশ্যে সোমবার (৭ জুলাই) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক নুসরাত সুলতানার সভাপতিত্বে আয়োজিত এ সভায় জেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ, সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধি, সুশীল সমাজ, সাংবাদিক ও সরকারি দপ্তরের প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। সভা শুরুর আগে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা স্থানীয় রাজনৈতিক, সামাজিক এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের সঙ্গে নিয়ে প্রস্তাবিত স্থানগুলো পরিদর্শন করেন। পরে সর্বসম্মতিক্রমে কলেজ মোড় এলাকায় বিজয় স্মৃতি স্তম্ভের পাশেই 'জুলাই শহীদ স্মৃতি স্তম্ভ' নির্মাণের জন্য স্থান নির্ধারণ করা হয়।
সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মাহফুজুর রহমান, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ ফিরুজুল ইসলাম, গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল্লাহ-আল ফারুক, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব সোহেল হোসনাইন কায়কোবাদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম বেবু, অধ্যাপক হাসিবুর রহমান হাসিব, জামায়াতে ইসলামীর জেলা আমির মাওলানা আব্দুল মতিন ফারুকী, এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আতিক মুজাহিদ, জেলা সমন্বয়কারী মোঃ মুকুল মিয়া, এবি পার্টির জেলা আহ্বায়ক ডা. নজরুল ইসলাম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা আহ্বায়ক আব্দুল আজিজ নাহিদ এবং প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
জেলার ইতিহাস ও গণতান্ত্রিক চেতনার ধারক এই স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণে সর্বস্তরের অংশগ্রহণ কুড়িগ্রামে এক ঐক্যবদ্ধ বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে।