ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার রাধাকানাই ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামে প্রতিপক্ষ মানুষের সাথে কথা না বলে, গাছ কেটে শত্রুতার বহি: প্রকাশের ঘটনা ঘটেছে। এধরনের কাজকে স্থানীয় মানুষেরা ঘৃনাভরে প্রত্যাখান করেছে।
শনিবার (৫ জুন) দিবাগত রাতের যে কোন সময় এমন ঘটনা ঘটেছে দাবী করে মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে সাইফুল ইসলাম দাবী করে বলেন, আমি চলতি বছরের ২৩ এপ্রিল রঘুনাথপুর মৌজায় ৪ শতক জমি সাফ কাওলা ম‚লে প্রতিবেশি মৃত আ: সালামের পুত্র সাইফুল ইসলামের কাছ থেকে ক্রয় করি। পরিমাপ করে আমি সেই জমি বুঝে নিয়ে সেখানে কলার বাগান রোপন করি। সম্প্রতি সেই জমির নদীর তীরে আমি কিছু ফলজ, বনজ, ঔষধি গাছ রোপন করি। এ ছাড়াও কিছু সবজির বাগানও ছিল। হঠাৎ আমাদেরকে কিছু না বলে, জমি দাতার চাচাতো ভাইয়েরা আমার রোপিত গাছগুলো কেটে তারা গাছ লাগিয়ে দেয়। বিষয়টি আমি জমিদাতাকে জানালে তিনি তাদের সাথে আলোচনা করে গাছগুলো উঠিয়ে নেয়। কিন্তু রাতের বেলায় আবারও তাদের গাছ রোপন করে।
এ বিষয়ে জমির মালিক সাইফুল ইসলাম বলেন, নিয়ামত আলীর পুত্র রফিকুল ইসলাম, আদম আলী গোলাম মোস্তফা, ইব্রাহিম এবং ইব্রাহিমের পুত্র সাগর মিয়া গংরা মিলে আমার জমিতে রোপিত কলাগাছ, সিম গাছ, লাউ গাছ, রেন্টি গাছ সহ নানা সবজির গাছ কেটে ফেলেছে। জমি নিয়ে তাদের কোন কথা থাকলে আমাদেরকে বলতে পারতো? আমাদের সাথে কোন প্রকার কথা না বলে, গাছগুলো কেটে ফেলায় আমি খুব কষ্ট পেয়েছি। আমি এর বিচার চাই। আমি এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করবো।
স্থানীয় মনসুর আলী বলেন, কলা গাছের সঙ্গে এ কেমন শত্রুতা? কলা গাছের কি দোষ ছিল? আমি শুনেছি, সাইফুল ইসলামের কলাগাছ, শিম গাছ, লাউ গাছ, রেন্টি গাছ কেটে ফেলেছে, কে কেটেছে জানি না।
এদিকে, কলা গাছ কেটে ফেলার বিষয়টি অস্বীকার করে গোলাম মোস্তফা বলেন, রেকর্ড মূলে আমার পৈত্রিক সম্পদে আমি গাছ লাগিয়েছি। সাইফুল ইসলামের ক্রয়কৃত জমিতে গাছ লাগাই নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আঃ মান্নান বলেন, সাইফুল ইসলাম তার বাগানের কলা গাছ কাটার বিচার চাইলে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসার চেষ্টা করতে চাইলেও অভিযুক্ত প্রতিবেশি রফিকুল ইসলাম ও বাদী সাইফুল ইসলাম কেউ সালিশে আসেনি । কিন্তু গাছ কাটা নেহাত অন্যায় হয়েছে ।