অতি ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরের বেশির ভাগ সড়ক ও এলাকায় সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দা, শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। বৃষ্টির পানি ও পাহাড়ি ঢলে বিপদসীমার কাছাকাছি ফেনীর মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানি। মুহুরী নদীর পাড় ভেঙে ফুলগাজী এলাকায় দুটি দোকানঘর নদীতে বিলীন হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার সন্ধ্যা- ৬টা পর্যন্ত এর আগের ২৪ ঘন্টায় ফেনীতে ৪৪০ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। এটি চলতি বর্ষা মৌসুমে এক দিনে সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড। ফেনী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: মজিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আগামী দুই দিনও ফেনীতে মাঝারি থেকে অতি ভারী বর্ষণ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।’
ফেনী শহরের কলেজ রোড,মিজান রোড, একাডেমি, হাসপাতাল রোড,পাঠানবাড়ি, নাজির রোড, শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কসহ বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরের দিকে শহরের শহীদ শহীদুল্লাহ কায়সার সড়কে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের কোথাও হাঁটুপানি জমেছে। কোথাও আবার কোমরসমান পানি। কিছু সংখ্যক রিক্সা ও ভ্যান গাড়ি ছাড়া অন্যান্য যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। পানি মাড়িয়ে কর্মস্থলসহ নানা গন্তব্যে যাচ্ছেন মানুষ। একইভাবে স্কুল ও কলেজে যাচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
ফেনীর ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন বলেন, গত সোমবার রাত থেকে অতি বৃষ্টিতে মুহুরী নদীর পানি বেড়ে গেছে। পানির স্রোতের তোড়ে এলাকার দুটি দোকান নদীতে বিলীন হয়ে যায়।
ফেনী পৌরসভার প্রশাসক ও স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম মো: বাতেন বলেন, অতি ভারী বৃষ্টিতে ফেনী শহরে সৃষ্টি হওয়া জলাবদ্ধতা দূর করতে পৌরসভার কর্মীরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
ফেনী পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো: আবুল কাশেম বলেন, ‘জেলার সীমান্তবর্তী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মুহুরী নদীর পানি বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অস্বাভাবিক পানি বৃদ্ধির ফলে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।