মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার উত্তর কাওন্নারা গ্রামের আলোচিত যুবক মো. রাব্বি (২৬)–কে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে সাটুরিয়া থানা পুলিশ। সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় সাটুরিয়া হাইস্কুলের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়।
থানা সূত্রে জানা যায়, পুলিশের দায়ের করা এক সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় রাব্বিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৬০-৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রাব্বি উত্তর কাওন্নারা গ্রামের আছর উদ্দিনের ছেলে। তবে জন্মের পর থেকেই তিনি মির্জাপুরে নানাবাড়িতে বড় হন। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি সওদাগর সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত এবং ছোটবেলা থেকেই লেখাপড়ার চেয়ে উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপনের দিকে ঝুঁকে পড়েন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, রাব্বি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। তার বিরুদ্ধে মির্জাপুর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এছাড়াও, দোকান থেকে মালামাল নিয়ে টাকা না দেওয়া, চাঁদাবাজি, মাদক সেবন এবং মারামারির মতো একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের একাধিক বর্তমান ও সাবেক সদস্য জানান, রাব্বির নাম নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কোনো কমিটিতে নেই। তবে সাটুরিয়ার বাইরে অবস্থানকালে মির্জাপুরে কিছু পদ-পদবি থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
গত ২৯ ডিসেম্বর পশ্চিম কাওন্নারা ও উত্তর কাওন্নারা সওদাগর পাড়ার মধ্যে দেশীয় অস্ত্রসহ সংঘর্ষের ঘটনায় রাব্বি মূল হোতা হিসেবে উঠে আসে। ওই ঘটনায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও মারামারি হয়। পরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের হস্তক্ষেপে বিষয়টির মীমাংসা হয়।
তবে এরপরও, গত ৫ আগস্ট বিভিন্ন স্থাপনায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় জড়িতদের তালিকায় রাব্বির নাম উঠে আসে। সিসিটিভি ফুটেজেও তাকে শনাক্ত করা হয়।
সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুল ইসলাম জানান, পুলিশের করা মামলায় রাব্বির সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে। তাই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, তার বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে, যাতে তদন্তে বিস্তারিত তথ্য বের করা যায়।
এলাকাবাসী রাব্বির গ্রেপ্তারকে স্বস্তির নিঃশ্বাস হিসেবে দেখছেন এবং দ্রুত আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।