জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, মধ্য এশিয়ার টেরােরিষ্ট হচ্ছে গুজরাটের কসাই নরেদ্র মােদি। আরেক টেরােরিষ্ট হাসিনাকে প্রশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। হাসিনা নিজে টেরােরিষ্ট এবং ছাত্রলীগও টেরােরিষ্ট।
হাসনাত আরাে বলেন, বাংলাদেশের আকাশ আজ কালাে মেঘের ঘনঘটা। দেশকে নিয়ে দেশ বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। ভারতে বসে হাসিনা জুলাই বিপ্লবীদের হত্যার ষড়যন্ত্র করছে অভিযােগ তুলে তিনি বলেন, আ’লীগের প্রেতাত্মারা ভারত ও লন্ডনে বসে যতই ষড়যন্ত্র করুক না কেন বাংলাদেশে আ’লীগের চ্যাপ্টার ক্লােজ, আ’লীগ উইল নেভার কাম ব্যাক।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বুধবার রাতে ঝিনাইদহ শহরের পায়রা চত্বরে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি ও দেশ গড়ার নতুন প্রত্যয় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পদযাত্রা শেষে এক সমাবেশে বক্তব্যদানকালে এসব কথা বলেন।
সমাবেশে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আক্তার হােসেন, নাসির উদ্দীন পাটােয়ারি, ডাক্তার তাসনীম জারা, সারজিস আলম, কেদ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব ঝিনাইদহের কৃতি সন্তান তারেক রেজা, শহীদ রাকিবের মা হাফিজা খাতুন ও শহীদ সাব্বিরের পিতা আমােদ আলী বক্তব্য রাখেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, বিচার ও সংস্কারের আগে দেশে কােন নির্বাচন হবে না। আমাদের যুদ্ধ বাংলাদেশ বির্নিমানের যুদ্ধ। আগে বিচার ও সংস্কার শেষ হােক, তারপর নির্বাচন হবে। নির্বাচিত সরকার বিচার ও সংস্কার করবে কি করবে না এই নিশ্চয়তার মধ্যে আমরা থাকতে চাই না। আমরা হাসিনার বিচার ও সংস্কার নিশ্চিত হয়েই নির্বাচনে যেতে চাই। তাই গণতন্ত্র উত্তরণের পথে যাতে কেউ বাধা হয়ে না দাড়ায় সে দিকে সজাগ থাকতে হবে।
সাংবাদিকদের বেতন দেওয়া হয়না বলে হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযােগ করে বলেন, দেশের বেশির ভাগ সাংবাদিকদের হাতে বুম ও পরিচয়পত্র ধরিয়ে দিয়ে বলা হয় এলাকায় যেয়ে কট খাও।
সমাবেশে এনসিপির আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা সীমান্তে বিএসএফ পাখির মতাে বাংলাদশীদের হত্যা করছে। তিনি বিএসএফকে একটি খুনি বাহিনী হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, তারা মানবতা বিরােধী অপরাধ করছে। এখনই তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াতে হবে। তিনি বলেন, সংস্কার, হাসিনা ও আ’লীগের বিচার, নতুন সংবিধান রচনা ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করেই ঘরে ফিরবাে ইনশাআল্লাহ।
শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ব্যানার, ফেস্টুন, পােস্টারে ছেয়ে গেছে। নেতাকর্মীদের মাঝে বইছে চাঙ্গা রাজনৈতিক আবহ। রঙিন ব্যানার দেখা যাচ্ছে দলীয় শীর্ষ নেতাদের ছবি। অনেকেই বলছেন এ যেন উৎসব। আবার কেউ বলছেন এটা এক নতুন রাজনৈতিক জাগরণের সূচনা। কর্মসুচি সফল করতে পার্টির জেলা ও থানা পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন।