পাবনার বেড়া উপজেলার জাতসাখিনী ইউনিয়নের সিন্দুরিয়া গ্রামের সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট সম্পত্তির ভূয়া ও জাল দলিলের নামজারি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) দুপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এরপর পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলামের নিকট স্মারকলিপি জমা দেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতসাখিনী মৌজার নিম্নবর্ণিত সম্পত্তি ভিপি (সরকারী স্বার্থসংশ্লিষ্ট) সম্পত্তি হিসেবে অসহায় ব্যক্তিবর্গ ঘরবাড়ী নির্মাণ করে ও কৃষি জমি হিসেবে প্রায় ৫০ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছে। ভবিষ্যতে সরকারী লীজ বা কোন ব্যবস্থার মাধ্যমে অসহায়, ভূমিহীন, দরিদ্র লোকদের মধ্যে বন্দ বস্ত দিলে ভূক্তোভাগীরা সরকারী নিয়মনীতি মেনে লীজ নিবে। নামীয় বিবাদীগণ হঠাৎ করে এসে বর্ণিত জমি তাদের নিজেদের বলে দাবি করেছেন। বিবাদীগণ কখনো ভোগদখলে ছিলেন না। কিন্তু স্থানীয় ভূমি অফিসে গিয়ে জানতে পারে বিবাদীগণ অর্পিত তালিকা থেকে অবমুক্ত করে নালীশি নাম জারি করেছেন। বিবাদী পক্ষ ভূয়া জাল দলিলাদি দাখিল করে অফিসকে বোকা বানিয়ে সরকারী স্বার্থ আত্মসাৎ করেছেন। সম্পত্তিগুলো ভিপি সম্পত্তি হওয়ায় প্রকৃত দখলদারের মাঝে লিজ প্রদানের লক্ষে নালীশি ভূয়া দলিল বিশিষ্ট নামজারি বাতিলের দাবি করা হয়।
মানববন্ধনে অভিযোগ করা হয়, আমাদের ওই সম্পত্তির উপর ৫০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বসবাস করে আসছি। কৃষি চাষবাস করে আসছি। আওয়ামী লীগের সময় কিছু সন্ত্রাসী এসে আমাদের উপর জোরজুলুম করে সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করত। কিন্তু এখন ৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা এসে আমাদের উপর জোরপূর্বক ও নির্যাতন করে এসব সম্পত্তির ভূয়া জাল দলিল বানিয়ে নিজেদের আয়ত্তে নেওয়ার পাঁয়তারা করছে । আমাদের যদি এখান থেকে উঠিয়ে দেয়া হয়, তাহলে আমরা কোথায় যাব। আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোন উপায় নাই।
তারা আরও বলেন, সরকার যদি কোন সিদ্ধান্ত নেন তাহলে অবশ্যই জনসাধারণ মেনে নিবে। যদি আমাদের মধ্যে একশ বছরের জন্য মালিকানা পদ্ধতিতে বসবাস ও চাষাবাদ এর জন্য সুবিধা করে দেয়, তাহলে সরকারের রাজস্ব আয় বাড়বে। পাশাপাশি জনগণও উপকৃত হবে।
এময় বক্তব্য দেন, ভূমিহীন আন্দোলনের আহবায়ক মোঃ লিটন কবিরাজ, সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, সুকুমার শীল, বাবু মোল্লা, আলেক মোল্লা,আসাদ শেখ, শামসুল শেখ, সোহেল শেখ, ইউনুস শেখ, শহীদ শেখ, রঞ্জু শেখ, রশিদ শেখ প্রমুখ।
পাবনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম স্মারকলিপির বিষয়ে সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।