× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

চট্টগ্রামের ১৬ আসনে নির্বাচনী তৎপরতা তুঙ্গে, মাঠে বিএনপি-জামায়াত-এনসিপি

এম.তৌহিদুল ইসলাম চট্টগ্রাম ব্যুরো।

১২ জুলাই ২০২৫, ১৪:৫০ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

দরজায় কড়া নাড়ছে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনকে সামনে রেখে চট্টগ্রামের ১৬টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের মাঝে শুরু হয়েছে দৌড়ঝাঁপ ও প্রচার-প্রচারণার উত্তাপ। বিশেষ করে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি এবং জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর মনোনয়নপ্রত্যাশীরা সক্রিয়ভাবে নিজেদের অবস্থান জানান দিচ্ছেন।

দলীয় কর্মসূচি, সামাজিক অনুষ্ঠান এবং নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ—সব মিলিয়ে ভোটারদের মন জয় করতে এখনই মাঠে নেমে পড়েছেন তারা। বিএনপি থেকে অধিকাংশ আসনে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও জামায়াত প্রতিটি আসনে একক প্রার্থী দেবে বলে জানা গেছে। সম্ভাব্য প্রার্থীদের অনেকেই একে অপরের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তবে চট্টগ্রামের হেভিওয়েট হিসেবে বিবেচিত বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও দলটির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. আসলাম চৌধুরীর ক্ষেত্রে দলীয়ভাবে ‘একক প্রার্থী’ হিসেবেই দেখা হচ্ছে।

গত কোরবানির ঈদেও মহানগরীসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় নিজ নিজ অবস্থান থেকে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা।

দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত হবে কোন প্রক্রিয়ায়—এ বিষয়ে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক রাষ্ট্রদূত গোলাম আকবর খোন্দকার দৈনিক সংবাদ সারাবেলাকে বলেন,
"এখন সাংগঠনিক কার্যক্রম চলছে। দলের হাইকমান্ড যাচাই-বাছাই শেষে সময়মতো প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করবে। যারাই দলীয় মনোনয়ন পাবেন, সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের পক্ষে মাঠে নামতে হবে। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে আমরা সবাই একযোগে কাজ করব।"

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিস মিয়াও একই সুরে বলেন,
"বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও মনোনয়ন বোর্ড প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন। আমরা আশা করি, এবার ত্যাগী, জনপ্রিয় এবং ক্লিন ইমেজের প্রার্থীরাই মনোনয়ন পাবেন। দক্ষিণ জেলার ছয়টি আসনে যাঁরা মনোনয়ন পাবেন, তাঁদের জন্য দলীয় নেতাকর্মীরা সর্বশক্তি নিয়োগ করবেন।"

এদিকে, চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন সংবাদ সারাবেলাকে জানান,
"চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রতিটি আসনে ইতোমধ্যেই জামায়াতের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে তারা এলাকায় জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর পাশাপাশি সমাজসেবামূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাদের কার্যক্রম চলবে।"

তিনি আরও বলেন,"সব আসনে প্রার্থী থাকলেও কোনো কোনো আসনে সমঝোতা হলে সেখান থেকে প্রার্থী প্রত্যাহার করা হবে। দলীয় স্বার্থে আমরা সে প্রস্তুতিও রেখেছি।"

জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) থেকেও আসন্ন নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক। তিনি সংবাদ সারাবেলাকে বলেন, "নির্বাচনে অংশ নিতে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করছি। ইতোমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীরা নিজ নিজ এলাকায় জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেছেন। মানুষ সত্যিকার অর্থেই পরিবর্তন চায়। তাই চট্টগ্রামের ১৬টি আসনের মধ্যে আট থেকে দশটি আসনে আমাদের প্রার্থী দিতে পারি। যদিও এখনও চূড়ান্ত হয়নি কে কোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, তা শিগগিরই জানানো হবে।"

চট্টগ্রাম-১ (মিরসরাই) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য রয়েছেন উত্তর জেলা বিএনপির দুই যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল আমিন চেয়ারম্যান ও নুরুল আমিন। এর মধ্যে নুরুল আমিন চেয়ারম্যান একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন। বিএনপির আরও রয়েছেন মিরসরাই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক শাহীদুল ইসলাম চৌধুরী, ক্লিপটন গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রফেসর এমডি কামাল উদ্দিন চৌধুরীর ছোট ভাই বিএনপি নেতা মহিউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী ও বড়তাকিয়া গ্রুপের কর্ণধার মনিরুল ইসলাম ইউসুফ। এ ছাড়াও এই আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট সাইফুর রহমান। আর এই আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব সাগুফতা বুশরা মিশমার নাম শোনা যাচ্ছে। 

চট্টগ্রাম-২ (ফটিকছড়ি) : এই আসনে ২০০৮ সালের নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরী। তার মৃত্যুর কারণে এই আসন থেকে তার পরিবারের কাউকে বিএনপিদলীয় প্রার্থী করার সম্ভাবনা বেশি। সেই ক্ষেত্রে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য হুম্মাম কাদের চৌধুরীর নাম থাকবে সর্বাগ্রে। আর এই আসনে জামায়াতের একক প্রার্থী চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন। 

তবে এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী আরও অনেকে রয়েছেন। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন সাবেক পিজিআর প্রধান ও উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মো. আজিম উল্লাহ বাহার, উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য ডা. খুরশিদ জামিল চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন একাংশের মহাসচিব, সাংবাদিক নেতা কাদের গণি চৌধুরী, দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সাবেক বিচারপতি ফয়সল মাহমুদ ফয়জী, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ছালাউদ্দিন ও সরোয়ার আলমগীর। এর মধ্যে আজিম উল্লাহ বাহার একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হয়েছিলেন। এ ছাড়াও আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে ফটিকছড়ির সংগঠক মো. একরামুল হকের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-৩ (সন্দ্বীপ) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেনÑ সাবেক সংসদ সদস্য মোস্তফা কামাল পাশা, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মিজানুল রহমান ভূঁইয়া মিল্টন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তরিকুল আলম তেনজিন, তবিউল আলম, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন এবং উপজেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবু তাহের। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি আলাউদ্দিন সিকদার।

চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) : এই আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মো. আসলাম চৌধুরী ছাড়া এখনও বিএনপির অন্য কোনো মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যায়নি। সেই ক্ষেত্রে আসনটিতে তিনি বিএনপির অঘোষিত একক প্রার্থী। এছাড়া চট্টগ্রাম উত্তর জেলা শিবিরের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল সিদ্দিকী আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন। 

চট্টগ্রাম-৫ (হাটহাজারী ও বায়েজিদ) : এই আসনে বিএনপির দুজন মনোনয়ন প্রত্যাশী এবং জামায়াতের একক প্রার্থী রয়েছেন। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হলেনÑ বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এসএম ফজলুল হক ও সাবেক হুইপ সৈয়দ ওয়াহিদুল আলমের মেয়ে বিএনপি নেত্রী ব্যারিস্টার শাকিলা ফারজানা।  আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন হাটহাজারী উপজেলা জামায়াতের আমির ইঞ্জিনিয়ার সিরাজুল ইসলাম।

চট্টগ্রাম-৬ (রাউজান) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী দুজনই হেভিওয়েট। তারা হলেনÑ বিএনপির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরী এবং দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক গোলাম আকবর খোন্দকার। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী রাউজান উপজেলা জামায়াতের আমির শাহজাহান মঞ্জুর।

চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া) : এই আসনটিতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও প্রয়াত বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীর নাম সর্বাগ্রে রয়েছে। এছাড়াও মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেনÑ উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ইউনুছ চৌধুরী, উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক কুতুব উদ্দিন বাহার, সদস্য সচিব আবু আহমেদ হাসনাত। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অধ্যক্ষ আমিরুজ্জামান।

চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও, বোয়ালখালী ও পাঁচলাইশ আংশিক) : এই আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী রয়েছেন তিনজন। তারা হলেনÑ চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহ এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব মোস্তাক আহমেদ খান। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী বিএমএ নেতা ডা. আবু নাসের। এ ছাড়াও আসনটিতে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে দলটির দক্ষিণাঞ্চলের যুগ্ম মুখ্য সংগঠক জোবায়রুল হাসান আরিফের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালি-বাকলিয়া) : এই আসনটিতে তিন হেভিওয়েটের নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেনÑ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, নগর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য শামসুল আলম। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী ডা. ফজলুল হক। এছাড়াও নগরীর গুরুত্বপূর্ণ এই আসনটিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি ও এনসিপি নেতা আরিফ মঈন উদ্দিন ও এনসিপির যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১০ (ডবলমুরিং-পাহাড়তলী-হালিশহর) : এই আসনটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মরহুম আবদুল্লাহ আল নোমানের পুত্র তরুণ রাজনীতিক সাঈদ আল নোমানের নাম শোনা যাচ্ছে। আর জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন চট্টগ্রাম নগর জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চসিকের সাবেক কাউন্সিলর অধ্যক্ষ শামসুজ্জামান হেলালী। এ ছাড়াও আসনটিতে এনসিপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ইমন সৈয়দের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর, পতেঙ্গা, ডবলমুরিং, ইপিজেড) : এই আসনে বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আগেও তিনি এই আসন থেকে একাধিকবার এমপি হয়েছিলেন। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন চসিকের সাবেক কাউন্সিলর শফিউল আলম। 

চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) : এই আসনে প্রার্থী হিসেবে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক আলহাজ্ব এনামুল হক এনাম,  বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইদ্রিস মিয়া, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সৈয়দ সাদাত আহমেদের নাম শোনা যাচ্ছে। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার লোকমান।

চট্টগ্রাম-১৩ (আনোয়ারা-কর্ণফুলী) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য, সাবেক এমপি সরওয়ার জামাল নিজাম, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব লায়ন হেলাল উদ্দিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক কমিটির সদস্য, ২০১৮ সালে বিএনপি'র প্রাথমিক মনোনয়ন প্রাপ্ত জনাব মোস্তাফিজুর রহমান, 
দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আলী আব্বাস, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম মামুন মিয়া, জেলা বিএনপির  আহবায়ক কমিটির সাবেক সদস্য  আবু মোহাম্মদ নিফারের নাম শোনা যাচ্ছে। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী দক্ষিণ জেলা জামায়াতের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক মাহমুদুল হাসান। এছাড়াও আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় সদস্য জোবায়ের আলম মানিকের নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ) : আসনটিতে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মহসিন জিল্লুর করিম, সাবেক বিচারপতি আবদুস সালাম মামুন ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিজানুল হক চৌধুরীর নাম শোনা যাচ্ছে। আর আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী বিশিষ্ট চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. শাহাদৎ হোসাইন। তবে আসনটিতে সাবেক মন্ত্রী ও এলডিপির প্রতিষ্ঠাতা কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের শক্ত অবস্থান রয়েছে। তিনি এবার নির্বাচন না করে তার ছেলে অধ্যাপক ওমর ফারুককে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়াও আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী হিসেবে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক হাসান আলীর নাম শোনা যাচ্ছে।

চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া) : এই আসনটি জামায়াতের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে খ্যাত। এবারও এই আসনে জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য, সাবেক এমপি শাহজাহান চৌধুরীকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে দলটি। জামায়াতের এই হেভিওয়েট প্রার্থীর সঙ্গে বিএনপির প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে মনোনয়ন প্রত্যাশী অনেকেই আছেন। তারা হলেন-দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক শেখ মো. 
মহিউদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক মজিবুর রহমান চেয়ারম্যান, 
দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আসহাব উদ্দিন, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক  জামাল হোসেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. ওসমান চৌধুরী এবং লোহাগাড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক-আহ্বায়ক নাজমুল মোস্তফা আমিন।

চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) : এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হিসেবে সাবেক মন্ত্রী জাফরুল ইসলাম চৌধুরীর দুই ছেলে দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিশকাতুল ইসলাম চৌধুরী পাপ্পা ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম চৌধুরী আলমগীর, দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক লিয়াকত আলী চেয়ারম্যানের নাম শোনা যাচ্ছে। তবে আসনটিতে জামায়াতের একক প্রার্থী হিসেবে শক্ত অবস্থানে রয়েছেন বাঁশখালীর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম। এ ছাড়া আসনটিতে এনসিপির প্রার্থী দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.