সিলেটের তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালাতে যেয়ে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে আটক করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। এ সময় তার সহযোগী আরও একজনকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১২ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তামাবিল সীমান্তে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাদেরকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে।
গ্রেফতার হওয়া ওই নেতার নাম মোখলেছুর রহমান সুমন (৪০)। তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি এবং বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ-সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক। তিনি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার তারাইল ঈশ্বরদী গ্রামের হাজী ইরফান উদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে। মোখলেসুর রহমান সুমন সর্বশেষ উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে ভাঙ্গা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহণ করে। ভারতে পালানোর সময় তার সঙ্গী গোয়াইনঘাট উপজেলার অজুহাত গ্রামের কামাল আহমেদের ছেলে আবুল কালাম (৩২) ছিলেন।
সিলেট ব্যাটালিয়ন-৪৮ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ১০ জুলাই তামাবিল সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের দায়ে দুই বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ। শনিবার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ তাদের বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। পরে বিজিবি ওই দুজনকে গোয়াইনঘাট থানায় হস্তান্তর করে।
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তার বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হয়। মামলার ভয়ে তিনি সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার তামাবিল সীমান্ত দিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেন। ভিসা ছাড়া অবৈধভাবে ভারতে পালানোর জন্য সহায়তা করেন আবুল কালাম। তার সঙ্গে এক লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিল।
এর আগে, গত ১০ জুলাই সন্ধ্যায় তামাবিল সীমান্তের ১২৭৭ নম্বর পিলার এলাকায় ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে মোখলেছুর রহমান সুমন ও আবুল কালামকে আটক করে বিএসএফ।
এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) এস. এম. কবির হোসেন বলেন, ভারতে পালাতে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক দুজনকে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভাঙ্গা থানায় কয়েকটি মামলা রয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের রোববার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।