জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিভাগটির শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
১০ জুলাই শহিদ সাজিদ একাডেমিক ভবনের নিচে ঘটে যাওয়া এ হামলায় বিভাগের দুইজন শিক্ষক ও তিনজন শিক্ষার্থী গুরুতরভাবে আহত হন। আহত শিক্ষকদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক কে. এ. এম. রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম। এছাড়া আহত শিক্ষার্থীরা হলেন মোঃ ফারুক, ফেরদৌস শেখ ও মোঃ ফয়সাল মুরাদ।
হামলার ঘটনায় ছাত্রদলের নাম উঠে এলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এখনো পর্যন্ত কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
শনিবার (১৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে তারা জানান, ঘটনার পর তিন দিন পেরিয়ে গেলেও প্রশাসন কোনো বিবৃতি দেয়নি বা হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেয়নি, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং শিক্ষক সমিতির নির্লিপ্ততা ও দায়িত্বহীনতা তাদের ব্যথিত করেছে। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, যেখানে শিক্ষকই নিরাপদ নন, সেখানে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা কে নিশ্চিত করবে? সহকারী প্রক্টরের ওপর প্রকাশ্যে রড দিয়ে হামলার ঘটনা নিরাপত্তা ব্যবস্থার চরম ব্যর্থতাকে নির্দেশ করে বলেও তারা মন্তব্য করেন।
শিক্ষার্থীদের উত্থাপিত দাবিসমূহ:
১. আজ ১৩ জুলাইয়ের মধ্যেই ঘটনার তদন্ত শেষ করে প্রশাসনকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২. যেসব চলতি শিক্ষার্থী এই বর্বর হামলায় সরাসরি জড়িত, তাদের অবিলম্বে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
৩. বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাবেকদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে হবে এবং উক্ত ঘটনায় জড়িত সাবেকদের বিরুদ্ধেও প্রশাসনকে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন যদি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলার সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করে, তবে তারা আরও কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবেন।