ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় এস.এস.সি ২০২৫ সালের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী হয়েছেন সাকিরিন সুলতানা ফারিয়া। তিনি ১৩০০ নাম্বারের মধ্যে ১২৩০ নাম্বার পেয়ে এই শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেছেন। সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট অফিসার মো. স্বপন মিয়া ও উপজেলা স্ব্যাস্থ সহকারি মোছাম্মৎ মাসুদা বেগমের ৪ মেয়ের মধ্যে তিনি বড়। তিনি সদরের নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী।
করোনা কালিন সময়ে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জে.এস.সি) পরীক্ষা না হলেও তিনি প্রাইমারি স্কুল সার্টিফিকেট (পি.এস.সি) পরীক্ষায় ট্যালেন্ট পুলে বৃত্তি পেয়েছিলেন। চাকরিজীবী দম্পতির কন্যা ফারিয়ার সাফল্যে খুশি শুভাকাঙ্ক্ষীরা। তিনি বর্তমানে সপরিবারে উপজেলা স্ব্যাস্থ কমপ্লেক্সের কোর্য়াটারে বসবাস করছেন। উপজেলার নবীনগর পূর্ব ইউনিয়নের উরখুলিয়া গ্রামের জাহের মিয়ার নাতনি তিনি।
সাকিরিন সুলতানা ফারিয়া জানান, আমার অনুপ্রেরণা আমার আব্বু। প্রাইভেট পড়ার চেয়ে ছুটিতে এসে আমাকে আব্বুর পড়ানো ও উৎসাহ দানই আমার এগিয়ে যাওয়া। আমার স্বপ্ন আমি একজন ডাক্তার হবো। আমার নিজ এলাকা ও অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল রোগীদের বিনামূল্যে সুচিকিৎসা দিবো। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন।
অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া ফারিয়ার মেজ বোন জুয়াইরিয়া জানান, আমি আমার বড় বোনকে সব সময় ফলো করি। লেখা-পড়ার যে কোন বিষয়ে আপুর কাছ থেকে সহযোগিতা ও পরামর্শ নিই।
সবার ছোট বোন ফাতেমা জানান, আমি অনেক খুশি, আমার বোন সবার চেয়ে বেশি নাম্বার পেয়েছেন।
ফারিয়ার মা মোছাম্মৎ মাসুদা বেগম জানান, আমার ৪ মেয়ে। আল্লার রহমতে সবাই যার যার ক্লাসে প্রথম। ছেলে সন্তান না থাকায় মেয়েদের নিয়ে আমাদের অনেক কটু কথা শুনতে হয়েছে। আমার মেয়ের সাফল্যে আমরা অনেক খুশি। চাকরির কারনে আমরা বাবা-মা দুজন-ই আমার মেয়েকে সময় দিতে পারিনি। সময় দিতে পারলে আরো ভালো করতো। তবু আল্লাহর কাছে শুকরিয়া জানাই। আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন সে যাতে তার স্বপ্ন পূরণ করে সুন্দরভাবে চলতে পারে ও দেশের সুনাম বয়ে আনে।
নবীনগর ইচ্ছাময়ী পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাম্মৎ কাউছার বেগম বলেন, আমরা ফারিয়াকে নিয়ে অনেক গর্বিত। তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
নবীনগর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবু মোছা জানান, আমি তার সর্বাঙ্গিন সাফল্য কামনা করছি। সে আমাদের উপজেলার গর্ব। আমরা তার সাফল্যে গর্বিত।