সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পাথার প্রান্তরের চার ইউনিয়নের মাঠগুলোয় বন্যার পানি নেই। এখন বর্ষাকালের মাঝামাঝি সময়কাল চলছে। সোমবার (১৪ জুলাই) আষাঢ়ের ৩০ তারিখ। বর্ষাকালের মধ্য ভাগে পাথার প্রান্তরের মাঠগুলোয় বন্যার পানি না থাকায় মাছের বংশ তেমন বাড়ছে না বলে জানা গেছে।
উল্লাপাড়া উপজেলার দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের মোহনপুর, উধুনিয়া, বড় পাঙ্গাসী, বাঙ্গালা ইউনিয়ন এলাকায় মাঠগুলোয় এখনো বন্যার পানি হয়নি। বর্ষাকালের মধ্য ভাগে এবারে এখনো স্বাভাবিক বন্যা হয়নি। তাই স্বাভাবিক বন্যা হলেই পানিতে তলিয়ে যায় এমন মাঠ এলাকাগুলো এখন বন্যার পানি শূন্য অবস্থায় আছে। এর পাশাপাশি কয়ড়া ও দুর্গানগর ইউনিয়ন এলাকায় মাঠগুলোয় বন্যার পানি নেই। তবে দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের নদীগুলোয় বন্যার পানি হয়েছে।
সরেজমিনে ধরইল বিল, বিনায়েকপুর, রহিমপুর, বালিয়াদীঘি, হাওড়া, বড় পাঙ্গাসী, চাকসা, রাজমান, ভাদালিয়া কান্দি, রাউতান এলাকা ঘুরে দেখা গেছে মাঠগুলোয় বন্যার পানি নেই। কোনো কোনো মাঠে বৃষ্টিতে কাদা ও হালকা পানি জমে আছে। আবাদী মাঠগুলোয় বোরো ( ইরি) ধান কাটার পর মোথা থেকে কুশি বের হয়েছে। এছাড়া জলজ আগাছা জন্মেছে। বিভিন্ন এলাকায় পতিত মাঠে গরু চড়ানো হচ্ছে।
উপজেলার ধরইলের আনোয়ার হোসেন, বিনায়েকপুরের আলমগীর হোসেন, হাওড়ার আজাদ বলেন উল্লাপাড়া উপজেলা অঞ্চলে স্বাভাবিক বন্যা হলেই মোহনপুর, বড় পাঙ্গাসী, উধুনিয়া, বাঙ্গালা ইউনিয়ন এলাকার মাঠ ও নীচু এলাকাগুলো পানিতে তলিয়ে যায়।
সেখানে এবারে এখনো বন্যার পানি নেই বলে মাঠগুলো পানি শূন্য অবস্থায় আছে। অনেকেই মাঠে সকাল বিকেল গরু চড়াচ্ছেন। এদিকে বন্যা হলেই মাঠগুলোয় দেশীয় মাছের বংশ বাড়ে এবং মুক্ত জলাশয়ে অবাধ চলাচল করে। এবারে তা নেই। নদীতে বন্যার পানি হয়েছে। কাশেম বিল এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে সেখানকার মাঠে নীচু কয়েক বিঘা জায়গায় বৃষ্টির হালকা পানি জমে আছে। এর মাঝে একটি ডিঙ্গি নৌকা কাদা পানিতে রাখা আছে। আর পানি শূন্য পুরো মাঠে এলাকার গৃহস্থ কৃষকদের পালের গরু চড়ানো হচ্ছে। #