জুলাইয়ের ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানে নারীদের সাহসী অংশগ্রহণের স্মরণে সোমবার (১৪ জুলাই) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) পালিত হয়েছে 'জুলাই উইমেন্স ডে’। গত বছর এই দিনে নারীরা নিজেদের আবাসিক হলের গেট ভেঙে প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। সে দিনটির তাৎপর্য স্মরণে দিনব্যাপী কর্মসূচির আয়োজন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
জোহা চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হয়। র্যালিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাবেক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা অংশগ্রহণ করেন।
শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী সানজিদা ঢালি বলেন, অন্যান্য যেকোনো আন্দোলনের তুলনায় গত বছর মেয়েদের অবদান অনেক বেশি। মেয়েদের নির্যাতনের ছবিগুলোই মূলত আমাদের আন্দোলনে যেতে মোটিভেট করতো। মেয়েদের সেই অবদানগুলোকে স্মরণ করার জন্য আজকের দিনটা পালন করা হচ্ছে, তাই একজন মেয়ে হিসেবে আমি গর্বিত।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ও অ্যানিমেল সায়েন্স বিভাগের শিক্ষার্থী সুমাইয়া তাবাসসুম বলেন, জুলাই স্মৃতি যেন পিছু ছাড়ছে না। মেয়েরা তাদের ভাইদের বাঁচানোর জন্য পুলিশের সঙ্গে সংগ্রাম করেছে। অনেক মেয়ে এই আন্দোলনকে গাইড করেছেন কিভাবে আমরা জালিম সরকারের থেকে বাঁচতে পারি। এখন আমরা আমাদের অনেক অধিকার ফিরিয়ে পেয়েছি। স্বাধীনভাবে কথা বলার অধিকার পেয়েছি।
এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের লিগ্যাল সেলের প্রশাসক ও আইন বিভাগের অধ্যাপক আব্দুর রহিম মিয়া বলেন, আগের যেকোনো ধরনের আন্দোলন সংগ্রামে নারীদের অংশগ্রহণ না থাকলেও জুলাই আন্দোলনে তারাও এসে পুলিশের গুলির মুখে দাঁড়িয়েছেন লড়াই করেছেন। তাদের এই সাহসী মানসিকতা আগামী অনেক প্রজন্মকে সাহস যোগাবে। মেয়েরা এখন থেকে যেকোনো আন্দোলনে এসে ছেলেদের কাতারে দাঁড়াবে। তাদের সেই অবদানগুলোকে উৎসাহিত করার জন্য আজকের এই শোভাযাত্রা পালন করছি আমরা।