আন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, বাংলাদেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগ একটি নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন। এই সংগঠন কোনো ধরনের রাজনৈতিক তৎপরতা চালালে তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল বলেন, “আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। বর্তমানে তাদের বিরুদ্ধে বিচারিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যদি তারা কোনো সভা-সমাবেশ বা রাজনৈতিক উদ্যোগ গ্রহণ করে, তাহলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা এখন যে প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করছি, সেটি সেই প্রশাসন, যার অধিকাংশই আওয়ামী লীগের সময়ে নিয়োগপ্রাপ্ত। কাজেই এই বাস্তবতায় আমরা ধাপে ধাপে অবস্থান নিচ্ছি এবং সকলকে নিয়েই অস্থিরতা থেকে উত্তরণের চেষ্টা করছি।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামল নিয়ে সমালোচনা করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা দেশটিকে এক ধ্বংসস্তূপে পরিণত করে গেছেন। এখন আমাদের সেই ধ্বংসস্তূপের মধ্য থেকেই একটি নতুন ভবিষ্যতের ভিত্তি গড়তে হবে।”
এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, নীলফামারীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ নায়িরুজ্জামান এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
এ বক্তব্যের মধ্য দিয়ে নতুন সরকারের প্রশাসনিক দৃষ্টিভঙ্গি এবং বিরোধী রাজনীতির প্রতি অবস্থান স্পষ্ট হয়ে উঠেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।