দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি ব্যাংক ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশের চেয়ারম্যান হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার ১১ মাসের মাথায় পদত্যাগ করলেন ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ।
ইসলামী ব্যাংকের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেহেতু তাকে বোর্ডে দিয়েছিল, তাই তিনি পদত্যাগপত্র গভর্নরকে দিয়েছেন।
সংবাদমাধ্যমে আসা খবরে বলা হচ্ছে, বিভিন্ন অভিযোগ ওঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. কবির আহম্মদ গত ৩ জুলাই ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে ডেকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন।
২০২৪ সালের অগাস্টে পটপরিবর্তনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকে গভর্নরের দায়িত্ব পান আহসান এইচ মনসুর। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেন। তাতে বিতর্কিত ব্যবসায়ী এসআলমের নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয় ব্যাংকটি।
এরপর রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয় ২০২৪ সালের অগাস্টে।
কিন্তু বিভিন্ন অভিযোগ পাওয়ার পর গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর মো. কবির আহাম্মদ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে ডেকে পাঠান। সে সময়ই তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়–এমন খবর কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে এসেছে।
এর মধ্যে ১৫ জুলাই ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ, তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম, দুই ছেলে জুন্নুন সাফওয়ান ও জুনায়েদ জুলাকারনায়েন টিয়ান এবং মেয়ে তাসমিয়া তারান্নুম নওমির ব্যাংক হিসাব তলব করে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
পরদিন ইসলামী ব্যাংকে অভিযান চালিয়ে বিএফআইইউ ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে। তিনি ব্যাংক থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন, সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফরে ব্যাংক থেকে কোনো খরচ নিয়েছেন কিনা, নিলে কোন খাতে নিয়েছেন–সেসব তথ্য নেওয়া হয়।