বাগেরহাট জেলা শ্রমিক দলের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যাচার ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি সরদার লিয়াকত আলীর নেতৃত্বে সোমবার (২১ জুলাই) বিকেলে এক বিশাল মিছিল শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার চত্বরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন, বাগেরহাট জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক শমসের আলী মোহন, জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সৈয়দ নাসির আহমেদ মালেক, মনিরুল ইসলাম খান, অধ্যাপক হাদিউজ্জামান হিরো, জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুজন মোল্লা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জাহিদুল ইসলাম শান্তসহ বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা শ্রমিক দলের সাবেক সভাপতি সরদার লিয়াকত আলী বলেন, ১৭ টি বছর আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা মামলার শিকার হয়েছি। জেল জুলুম নির্যাতন সহ্য করেছি। ছাত্র জনতা আর আন্দোলনে শেখ হাসিনা বিদায় নিয়েছে। এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন তারেক রহমান। এখন এনসিপি চরমোনাই জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করে। তারা জানে না এদেশের মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছে তারেক রহমান। বিভিন্ন অজুহাতে নির্বাচন পেছাতে চাই তারা। ভোটের রাজনীতিতে আসুন। দেখা যাবে কার জনপ্রিয়তা বেশি। তিনি সবাইকে জিয়া খালেদা ও তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি না করার আহ্বান জানান। সেই সাথে তিনি শ্রমিক দলের নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার অনুরোধ জানান
প্রধান অতিথি এম এ সালাম তার বক্তব্যে বলেন, বিগত ১৭ বছর যাবত স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অত্যাচারে নিষ্পেষিত বিএনপি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও সমর্থকবৃন্দ। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র জনতার সাথে অংশগ্রহণ করেছিল বিএনপি। আর এই আন্দোলনের মাস্টারমাইন্ড ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বর্তমানে কিছু আনাড়ি ও অরাজনৈতিক ব্যক্তি তারেক রহমানকে নিয়ে কটুক্তি করছে। তাদের হুশিয়ারি দিয়ে বক্তারা বলেন, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেছেন, বেগম খালেদা জিয়া তিনবার এ দেশের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন এবং তারেক রহমান বিএনপি নেতা কর্মী তথা এদেশের জন্য আশীর্বাদ। তাদেরকে নিয়ে কটুক্তি করলে কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না। ভবিষ্যতে তাদের নিয়ে কথা বললে সতর্কতার সাথে কথা বলার অনুরোধ জানান বক্তারা।