রাজশাহী শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। বেলা ১২টায় শিক্ষা বোর্ডের বাইরে মিছিল করে ১২:৩০ মিনিটে বিক্ষোভকারীরা প্রবেশ করে শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে। শিক্ষার্থীরা নানা শ্লোগানে উত্তাল করে রাখে শিক্ষা বোর্ড চত্বর। শ্লোগানগুলোর মধ্যে ছিলো, 'শিক্ষা হবে শুদ্ধ প্রাণ, পদত্যাগে মিলবে প্রাণ'। দফা এক দাবি এক, শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ। শিক্ষার্থীরা স্বপ্ন বাধে, অযোগ্যরা দূরে সাধে। আমরা শিক্ষা সংস্কার কমিশন চাই।
শিক্ষার্থীরা মোট বারোটি দাবি নিয়ে শিক্ষা বোর্ড ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে। দাবিগুলো হলো, (১) শিক্ষা উপদেষ্টা, সকল বোর্ডের চেয়ারম্যান, শিক্ষা সচিব সহ যারা পরীক্ষার সাথে জড়িত তাদের কে পদত্যাগ করে সেই জায়গায় স্টুডেন্ট বান্ধব কাউকে নিয়োগ দিতে হবে।
(২) বিকেল ৫টার মধ্যে মাইলস্টোন স্কুলে হওয়া হতাহতের ঘটনার সঠিক বিবরন দিতে হবে কতজন স্টুডেন্টের লাশ পাওয়া গিয়েছে তার সঠিক হিসেব দিতে হবে প্রমান সহ। (৩) মাইলস্টোন স্কুলের ঘটনার সাথে যারা দায়ী তাদের সকলের নাম প্রকাশ করতে হবে এবং তাদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। (৪) মঙ্গলবারের (২২ জুলাই) পরীক্ষা কেন রাত ০৩ টার সময় স্থগিত করা হলো, তার জবাব দিতে হবে। (৫) CQ & MCQ (সিকিউ এবং এমসিকিউ) একসাথে পাশ দিতে হবে। (৬) গ্রেস মার্কের নিয়ম আগের মতো রাখতে হবে। (৭) যে সকল শিক্ষকরা পরীক্ষার খাতা দেখার নামে অনিয়ম করেছে এবং টিকটকারদের কে দিয়ে খাতা দেখিয়েছে, তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। (৮) পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের এক মাসের মধ্যে সাপ্লিমেন্টারী পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে। (৯) রেজাল্টের সময় অথবা খাতা পূনঃমূল্যায়নের সময় সবার খাতা অনলাইনে দেখার ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে ফেইল করা শিক্ষার্থীরা তাদের ভুল থেকে শিক্ষা নিতে পারে। এবং তারা সত্যিই ফেইল করেছে কি না, সেইটা নিশ্চিত হবার সুযোগ দিতে হবে। (১০) অভিন্ন প্রশ্নে সকল বোর্ডের পরীক্ষা নিতে হবে।
(১১) পরীক্ষার আগে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ টিম দিয়ে প্রশ্ন যাছাই করে, নির্ভূল প্রশ্নে পরীক্ষা নিতে হবে। (১২) পরীক্ষা বা রেজাল্ট নিয়ে নতুন কোনো নিয়ম চালু করলে, সেইটা ওই ব্যাচের ক্লাস শুরুর আগেই জানাতে হবে। পরীক্ষার সময় বা রেজাল্টের সময় জোড় করে নতুন নতুন নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া যাবে না।
বেলা তিনটা পর্যন্ত হাজারখানেক শিক্ষার্থী (এইচএসসি পরীক্ষার্থী) শিক্ষা বোর্ডের ভেতরে অবস্থান করে বিক্ষোভ করেন। বেলা দুইটার সময় বিক্ষোভকারি শিক্ষার্থীরা রাজশহী শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর আ.ন.ম. মোফাখখারুল ইসলামের দপ্তরে গিয়ে মৌক্ষিকভাবে নিজেদের দাবিগুলো জানান এবং তাৎক্ষণিক শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি তোলে বিক্ষোভকারিরা।
জানতে চাইলে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যান আ.ন.ম. মোফাখখারুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো আমরা কিভাবে মানবো। এই বিষয়গুলো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন।