একবছর পালিয়ে থেকেও শেষ রক্ষা হলোনা নিষিদ্ধ সংগঠন মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সামাদ (৩১) এর। অবশেষে ভারতে পালাতে গিয়ে বেনাপোল চেকপোস্টে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেফতার হতে হয়েছে ওই ছাত্রলীগ নেতাকে। তাঁর বিরুদ্ধে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে বৈষম্য বিরুধী ছাত্র-জনতার উপর হামলার ঘটনায় মোট ৭ টি মামলা রয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকালের দিকে তিনি ভারত যাওয়ার জন্য বেনাপোল ইমিগ্রেশনে আসেন। এরপর তার ডাটাবেজ যাচাইয়ে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ একাধিক মামলা পাওয়ায় তাকে আটক করে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করেন।
আটককৃত আব্দুস সামাদ মৌলভীবাজার সদর জেলার ১১ নং মোস্তফাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মোস্তফাপুর গ্রামের মো: আকিব আলীর ছেলে।
নাম প্রকাশে অনেচ্ছুক বেনাপোল থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, সকালে বোনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আব্দুস সামাদকে বেনাপোল থানায় হস্তান্তর করেন। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন। ওই কর্মকর্তা জানান, ইতিমধ্যে মৌলভীবাজার থেকে পুলিশ বেনাপোলের পথে রওয়ানা হয়েছে। তারা আসার পর তাকে হস্তান্তর করা হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ জানায়, তার নামে মৌলভীবাজার সদর থানায় ৭টি মামলা রয়েছে। তিনি মেডিকেল ভিসা নিয়ে ভারত যাচ্ছিলেন।
মৌলভীবাজার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মাহবুর রহমান জানান, ভারতে যাওয়ার জন্য বেনাপোল চেকপোস্টে সেখানকার ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করেছে। তার বিরুদ্ধে ৬টি মামলা চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৪ আগস্ট মৌলভীবাজারের চৌমুহনা এলাকায় বৈষম্য বিরুধী আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার উপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলায় অংশ নিতে দেখা যায় আব্দুস সামাদকে। ভয়াবহ হামলার ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজও ভাইরালও হয় সেসময়। এসব ঘটনায় আব্দুস সামাদ এর বিরুদ্ধে ৫ আগস্ট পরবর্তী সময়ে বেশ কয়েকটি মামলা হলেও তিনি ছিলেন পলাতক।