× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

দৌলতপুর একই পরিবারের চারজনের একসঙ্গে জানায, একসঙ্গে দাফন

রাকিব আলী, দৌলতপুর (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি।

২৪ জুলাই ২০২৫, ১৯:৫০ পিএম । আপডেটঃ ২৪ জুলাই ২০২৫, ২২:০৮ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

নাটোরের বড়াইগ্রামে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত একই পরিবারের চারজনকে একসঙ্গে দাফন করা হয়েছে। বাকি চারজনকে পৃথক স্থানে দাফন করা হয়। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের ধর্মদহ ফরাজিপাড়া কবরস্থানে তাদের পাশাপাশি দাফন করা হয়।

দুর্ঘটনায় নিহত জাহিদুল ইসলামের দুই ছেলে সিঙ্গাপুর থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছালে দুপুরে একসঙ্গে পরিবারের চারজনের নামাজের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

নিহতরা হ‌লেন- ওই গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে জাহিদুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী সেলিনা খাতুন (৫০), তার ভাই শহিদুল ইসলামের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আন্না (৫৫) ও মিজানুর রহমানের স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন আনু (৫০), নিহত জাহিদুল ইসলামের বোন প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), একই গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে সাহাব হোসেন (৩৫), মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং মেয়ে সীমা খাতুন (৩৫)।

নিহতরা মাইক্রোবাসে করে বাড়ি থেকে সিরাজগঞ্জে অসুস্থ রোগীকে দেখতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে ট্রাকের ধাক্কায় তাদের মৃত্যু হয়।

এর আগে বুধবার সকাল ১০টার দিকে নাটোরের আইড়মারি এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাদের মৃত্যুর খবর পেয়ে স্বজনরা ও স্থানীয়রা ছুটে আসেন নিহতদের বাড়িতে। একসঙ্গে এতজনের মৃত্যুর ঘটনায় সবাই যেন বাকরুদ্ধ। তাদের এমন করুণ মৃত্যুতে কিছুতেই থামছে না শোকার্ত স্বজনদের আহাজারি।

এদিকে জাহিদুল ইসলামের বোন ও পাশের প্রাগপুর গ্রামের রফেজ চৌধুরীর স্ত্রী ইতি খাতুন (৪০), জাহিদুলের শাশুড়ি ও শ্যালিকা মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বেতবাড়ীয়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী আঞ্জুমানারা (৭৫) এবং মেয়ে সীমা খাতুনের (৩৫) মরদেহ নিজ গ্রামে আনা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় গোরস্থানে তাদের দাফন সম্পন্ন হয়।

নিহত জাহিদুলের চাচাতো ভাই অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য জানারুল ইসলাম বলেন, ‘সকাল ৭টার দিকে মাইক্রোবাসে করে সিরাজগঞ্জে রোগী দেখতে যাচ্ছিলেন সবাই। এ সময় ট্রাকের ধাক্কায় আটজন মারা গেছেন। ধর্মদহ গ্রামের পাঁচজন মারা গেছেন। তাদের মধ্যে একজন মাইক্রোবাসের চালক।’

এ বিষয়ে স্থানীয় আদাবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের  চেয়ারম্যান আব্দুল বাকি বলেন, ‘এটি অত্যন্ত মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ছিল  । একই পরিবারের সদস্য এবং তাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়রা একসঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন। আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা এর আগে ঘটেনি।’ আমরা সকল বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। 

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.