ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের (ইইউবি) শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, শারীরিক নির্যাতন ও ভাঙচুরের অভিযোগে আট জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর লুৎফর রহমান বাদি হয়ে ঢাকা সি এম এম আদালতে মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন মো. মসিউর রহমান রাঙ্গা (৩০), ইমরান (২৮), মেহেদী হাসান (২৭), মেহরাব হোসেন (২৯), মকবুল আহমেদ খান (৭৫), এম এইচ খান মঞ্জু (৭০) ও ফারজানা আলম (৪৫)। তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগত ডেকে এনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলায় পাঁচজন শিক্ষার্থী আহত করার অভিযোগ করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ জুলাই সকাল ১০টায় ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থীর যোগসূত্রে একদল বহিরাগত এসে অতর্কিত হামলা চালায়। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করা সাবেক বিওটির চেয়ারম্যান মকবুল আহমেদ খান এবং সাবেক বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনের চেয়ারম্যান ফারজানা আলমের নির্দেশে মসিউর রহমান রাঙ্গার নেতৃত্বে ইমরান হোসেন জয়, মেহেদী হাসানসহ ২০ থেকে ২৫ জন দেশীয় অস্ত্র, ছুরি, মোটরসাইকেলের চেইন ও হকিস্টিক দিয়ে শিক্ষার্থীদের পিটিয়ে জখম করে।
এ সময় শিক্ষার্থী আসিফ সরকার, তারিজুল হোসেন অন্তর এবং আব্দুল্লাহ আল আজমের শরীরে জখম হয়। আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে আসিফ সরকারের মাথায় ছয়টি সেলাইসহ পাঁচজন হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ঘটনার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দোষীদের চিহ্নিত করা হয়েছে। হামলা, ভাংচুর, শৃঙ্খলা ভঙ্গ, শিক্ষার পরিবেশ বিনষ্ট ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে একাধিক শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রাজিব মুন্সী বলেন, ইউনিভার্সিটির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং নাশকতার সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অভিযুক্তদের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে এবং আইডি সিস্টেমে ব্লক করে দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি দল সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পর্যালোচনা করে হামলাকারীদের চিহ্নিত করার কার্যক্রম চলমান রেখেছে। এর মধ্যে যদি ইউনিভার্সিটির আরও শিক্ষার্থী জড়িত থাকে, তাদের বিরুদ্ধেও প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নেবে।’