আজকের এই দিনে ভালুকার মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া এক অমূল্য নাম-বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. রমজান আলী তরফদারের ১৬তম মৃত্যুবার্ষিকী। ভালুকার জনমানসে ‘রমজান ডাক্তার’ নামটি আজও সমান শ্রদ্ধায় উচ্চারিত হয়। নিঃস্বার্থ সেবা, মানবিক মূল্যবোধ ও দেশপ্রেমের অটুট প্রতিচ্ছবি ছিলেন তিনি।
রমজান আলী তরফদার শুধুমাত্র একজন চিকিৎসক ছিলেন না। তিনি ছিলেন দরিদ্র মানুষের এক আশ্রয়, এক নির্ভরতার নাম। টাকা না থাকায় কোনো রোগী তাঁর চেম্বার থেকে ফেরত যাননি-এমন নজির ছিল বিরল নয়। তিনি ওষুধ কিনে দিয়েছেন, রোগী নিজ খরচে ঢাকা পাঠিয়েছেন, এমনকি বাড়ি বাড়ি গিয়ে চিকিৎসাও দিয়েছেন। গ্রামের সাধারণ মানুষ বলতেন, “রমজান ডাক্তার মানেই ভরসা।”
১৯৭১ সালে দেশের প্রয়োজনে তিনি সরাসরি মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। সম্মুখযুদ্ধে অংশগ্রহণের পাশাপাশি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা দিয়ে গড়ে তুলেছিলেন এক বিপ্লবী চিকিৎসা সেবা কেন্দ্র। জীবন ঝুঁকি নিয়েও মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে ছিলেন নির্ভীকভাবে।
ভালুকার প্রতিটি প্রজন্মের হৃদয়ে রমজান ডাক্তার শুধু একজন চিকিৎসক নন, বরং এক জীবন্ত ইতিহাস, এক প্রেরণার উৎস। বর্তমান তরুণ প্রজন্মের জন্য তাঁর জীবন হতে পারে দেশপ্রেম, মানবিকতা ও সমাজসেবার এক দুর্লভ অনুপ্রেরণা।
ভালুকার ইতিহাসে ডা. রমজান আলী তরফদার থাকবেন চিরস্মরণীয় এক নাম হিসেবে-ভালোবাসায় মোড়ানো, সম্মানে উচ্চারিত এক গর্বিত পরিচয়।