দুর্নীতিবাজ,লম্পট ও চরিত্রহীন শিক্ষক মনিরুজ্জামান খানকে শাস্তিস্বরূপ হিসেবে বান্দরবানে বদলী করা হয়েছে। যা বান্দরবানবাসীদের জন্য হুমকিস্বরূপ। যাকে তাকে বদলী দিয়ে বান্দরবানে এসে শিক্ষার্থীদের সাথে এমন জঘণ্য আচরণ করবে না সে গ্যারান্টি কেউ দিতে পারবে না। তাই শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে স্পষ্টভাবে জানাতে চাই- বান্দরবান একটি শান্তিপূর্ণ জেলা এটি কোন ভাঙারী স্তুপ নয়।
আজ রবিবার সকালে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে সামনে মানিকগঞ্জ উপজেলার শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খানকে বদলী বাতিলে দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালনকালে এসব বলে মন্তব্যে করেন ছাত্র সমাজ।
এসময় হাতে ব্যানার ফেস্টুন হাতে নিয়ে মানববন্ধনে অংশনেন বান্দরবানস্থ আদিবাসী ছাত্র সমাজ।
সাধারণ শিক্ষার্থী লাবনী তংচঙ্গ্যা বলেন, বান্দরবান কিংবা তিন পার্বত্য জেলাকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ডাম্পিং ষ্টেশন মনে করে। যা কারণে দুর্নীতিবাজদের শাস্তিস্বরূপ হিসেবে পার্বত্য এলাকাতে বদলী দেয়া হয়। এমন ন্যক্কারজনক সিন্ধান্তকে আমরা ধিক্কার জানাই। আমরা স্পষ্ট বলতে চাই মানিকগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান খান একজন লম্পট ও চরিত্রহীন। স্কুল ছাত্রীকে কুপ্রস্তাব দেয়ায় তার অসৎ চরিত্রহীনতায় পরিচয় প্রকাশ পেয়েছে। তাকে বান্দরবানে বদলী আদেশ প্রত্যাখান করা না হলে কঠোর আন্দোলনে হুশিয়ারি দেন।
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের সহ- সাধারণ সম্পাদক এডিশন চাকমা বলেন, পার্বত্য এলাকা একটি পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীদের বসবাস। আমরা চাই না পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর জেলাতে এমন জঘণ্য শিক্ষা কর্মকর্তা বদলী হয়ে আসুক। তিনি আরো বলেন, শান্তিপ্রিয় বান্দরবান জেলাকে অশান্তি করতে চাইছে। যার কারণে এমন দুর্নীতিবাজ,চরিত্রহীন, লম্পট এক শিক্ষা কর্মকর্তাকে বান্দরবানে বদলী দেয়া হয়েছে। এই শিক্ষা কর্মকর্তার কারণে পাহাড়ে আরো শিক্ষার ব্যবস্থা পিছিয়ে থাকবে। তাই শিক্ষার মানকে ত্বরান্বিত করতে সৎ, নিষ্ঠাবান যোগ্য শিক্ষা কর্মকতা দেয়া আহ্বান জানানো হয়।
মানববন্ধন শেষে জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি বরাবর স্বারকলিপি তুলে দেন আদিবাসী ছাত্র সমাজের শিক্ষার্থীরা। এসময় শিমুল তংচঙ্গ্যা, নেলসন ত্রিপুরা, ফিলিপ খিয়াংসহ শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।