নদীভাঙন নয়, এবার পানির থাবা। উপকূলীয় জেলা পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সাম্প্রতিক অমাবস্যা ও বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে হঠাৎ জোয়ারে প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ জনপদ। ঘর-বাড়িতে ঢুকে পড়েছে নদীর পানি, রান্নাঘর ঠাঁই নিয়েছে উঠানে, কেউ কেউ আবার আশ্রয় নিয়েছেন পাশের স্কুলঘরে। ঠিক এই দুর্দিনে আশার আলো হয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে পিরোজপুর জেলা বিএনপি।
রবিবার (২৭ জুলাই) সকালে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যক্ষ আলমগীর হোসেন নিজেই হাজির হন বালিপাড়া ও চন্ডিপুর ইউনিয়নের প্লাবিত এলাকায়। সঙ্গে ছিল দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের টিম। পানিবন্দি পরিবারগুলোর দোরগোড়ায় গিয়ে ত্রাণসামগ্রী ও নগদ অর্থ পৌঁছে দেন তারা।
ত্রাণ নয় এটা যেন ছিল এক ধরনের সহানুভূতির প্রকাশ, এক ধরনের দায়িত্ববোধ থেকে উঠে আসা কর্মসূচি। ঘরভর্তি পানি, সন্তান কোলে বসে থাকা মা কিংবা বৃদ্ধ বাবার মলিন মুখের সামনে দাঁড়িয়ে বিএনপির নেতা আলমগীর হোসেন বলেন, এই মানুষগুলোর পাশে দাঁড়ানো এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দুর্যোগ এলে সরকার আসে, বড় সংস্থাগুলো আসে কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো কী করে? বিএনপি মাঠে আছে শুধু রাজনীতির জন্য নয়, মানুষের দুঃসময়ে তাদের সঙ্গে থাকার জন্য।
আমরা যতটুকু পারি, ততটুকুই নিয়ে এসেছি। এটা যদি কিছুটা স্বস্তি দিতে পারে, সেটাই আমাদের প্রাপ্তি। এসময় তিনি আরও বলেন, এই প্লাবনে হাজারো পরিবার ঘরছাড়া হয়েছে। কারও ঘরের চাল নষ্ট হয়েছে, কারও খাওয়ার মতো শুকনো খাবারটুকুও নেই। এমন দুঃসময়ে মানুষের পাশে না দাঁড়ালে রাজনীতির কোনো মূল্য থাকে না। তাই আমরা শুধু ত্রাণ নয় মানবিকতা নিয়েই মানুষের কাছে এসেছি।
স্থানীয় এক বৃদ্ধা বলেন, তিন দিন হইল পানির মধ্যে। চুলা জ্বলে না। বিএনপির লোকজন আইছে, কিছু চাল, ডাইল আর নগদ ট্যাকা দিছে। আল্লাহ যেন এদের ভালো রাখে।
এই ত্রাণ ও অর্থ বিতরণ কার্যক্রমে অংশ নেন, উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদ আহম্মেদ, সাধারণ সম্পাদক আঃ রাজ্জাক হাওলাদার, সাংগঠনিক সম্পাদক এইচ এম ফারুক হোসাইন, মোস্তান হাফিজ, উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মোঃ শাহিদুল ইসলাম, চন্ডিপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মোঃ দুলাল ফকির ও সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত হোসেন, বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক শহিদুল ইসলাম বাবুল ও সদস্য সচিব মোঃ জলিল হোসেন, সদর ইউনিয়নের মোহাম্মদ হাফিজুল তালুকদার, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইউনুস আকন এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।