কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে আলোচিত নৃশংসভাবে হত্যার শিকার হওয়া মারিয়া আক্তার স্মৃতি হত্যার এক বছর অতিবাহিত হলেও গ্রেফতার হয়নি মামলার আসামিরা। এতে ন্যায়বিচার নিয়ে হতাশ হয়েছেন মারিয়ার বাবা-মা। দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন
রবিবার (২৭ জুলাই) মেয়ের পিতা মানিক মিয়া বিচার নিয়ে চরম হাতাশা প্রকাশ করে জানান, বিচার চেয়ে উল্টো পরিবারের সবাই আতংকে রয়েছে।
এদিকে নৃশংস এই ঘটনার দ্রুত বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে তার পরিবার। কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন একটি প্রাথমিক স্কুল মাঠে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নিহতের বাবা মো: মানিক মিয়াসহ তার পরিবারের সদস্যরা।
লিখিত বক্তব্যে নিহত মারিয়া আক্তার স্মৃতির বাবা মানিক মিয়া বলেন, আমার মেয়েকে অমানবিক নির্যাতন করে খুন করেছে। এ ঘটনাটি সবাই জানেন। আমি মেয়ে হত্যা মামলায় মোস্তাক আল মেহেদীকে ১ং আসামি করে ৫-৬ জনকে অজ্ঞাতনামা করে মামলা দায়ের করি। কিন্তু হত্যার ১ বছর পরেও গ্রেফতার করা হয়নি কেউ। আসামিরা বর্তমানে সমাজে প্রকাশ্যে চলাফেরা করছে। তদন্তের নামে সময়ক্ষেপণ করায় আমাদের বিচার পাওয়া অনিশ্চিত হয়ে যাচ্ছে। আসামি দীর্ঘদিন ধরেই আমার মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিচ্ছিল। কিন্তু আমার মেয়ে বিবাহিত হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় সে আমার মেয়েকে খুন করার হুমকি দেয়। পরবর্তীতে আমাদের ধারণা সে-ই আমার মেয়েকে কৌশলে আরও কয়েকজনসহ ঘর থেকে রাতে বের করে নিয়ে নির্জন স্থানে খুন করে।
নিহতের বাবা মানিক মিয়া আরও বলেন, মেয়ে হত্যাকাণ্ডের বিচার চাইতে গিয়ে পড়েছি মহাবিপদে। আসামিরা মামলা তুলে নিতে আমি ও আমার পরিবারের সদস্যদের হুমকি দিচ্ছে নানা ভাবে। এখন আমাদেরকে হত্যা করারও হুমকি দিচ্ছে দলবল নিয়ে। আমি ও আমার পরিবার অসহায় নিরীহ ও দরিদ্র হওয়ায় চরম বিপাকে পড়েছি।
তিনি আরও বলেন, এতো বড় নৃশংস ঘটনা করার পরেও আসামিরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে। কাদেরকে বাঁচানোর জন্য এমনটা করছে প্রশাসন? আমি সাংবাদিকদের মাধ্যমে সরকারের কাছে জানতে চাই। আমরা আইনের কাছে মামলা করায় কি অপরাধ করে ফেলেছি?
প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালে ১২ জুলাই কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীতে কটিয়াদী পৌরসভাধীন হালুয়াপাড়া গ্রামে মারিয়া আক্তার স্মৃতি নামে এক গৃহবধূকে রাতে আঁধারে ক্ষতবিক্ষত করে নৃশংসভাবে হত্যা করে এক কৃষি জমিতে ফেলে রাখে। পরেরদিন কটিয়াদী মডেল থানা পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে।