জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা ও মব জাস্টিসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (২৮ জুলাই) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শান্ত চত্বরে সনাতন ধর্মাবলম্বী শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশ শেষে শিক্ষার্থীরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
বিক্ষোভে শিক্ষার্থীরা ‘আমি কে তুমি কে বাংলাদেশি বাংলাদেশি’, ‘ধর্মের নামে হানাহানি বন্ধ করো বন্ধ করো’, ‘প্রটেক্ট মাইনোরিটি, প্রটেক্ট ডেমোক্রেসি’সহ নানা স্লোগানে সাম্প্রদায়িকতা ও সহিংসতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন।
সমাবেশে এক সনাতনী শিক্ষার্থী বলেন, “বাংলাদেশে আমরা সবাই সমান। কিন্তু বারবার সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে হামলা হচ্ছে। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে দ্রুত ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই।”
জবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি একেএম রাকিব বলেন, “সনাতনীসহ অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা চালানো হচ্ছে। সরকার যথাসময়ে কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। হামলাকারী ও উসকানিদাতাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।”
জবি শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, “আমরা এমন এক দেশ চাই যেখানে কেউ ধর্মের পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন করবেনা। বাংলাদেশে হাজার বছর ধরে সব ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করে আসছে। কিন্তু এখন সংখ্যালঘুদের টার্গেট করে মব তৈরি করে সহিংসতা ছড়ানো হচ্ছে। এসব অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।”
জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ে সংখ্যালঘু ভাইদের জন্য কোনো উপাসনালয় নেই। জবি ক্যাম্পাসে উপাসনা করার জন্য যেকোনো একটি জায়গায় উপাসনালয় করার জন্য আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা সবসময় ধর্মীয় ভিত্তিতে নয়, জবিয়ান হিসেবেই আত্মপ্রকাশ করতে চাই। গত ১৭ বছরে বারবার সংখ্যালঘুদের ওপর সহিংসতা হয়েছে। মনে রাখতে হবে ‘ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। বক্তারা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও বিচারবহির্ভূত মব জাস্টিস বন্ধে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।