বৃষ্টি ছিল থেমে থেমে। চারপাশে কাদামাটি আর পিচ্ছিল ঢালু টিলা। ঠিক তখনই ঘটল ভয়াবহ দৃশ্য টিলার একাংশ ধসে পড়ল, এবং মুহূর্তেই এক শ্রমিক কোমর সমান মাটির নিচে চাপা পড়ে গেলেন।
অন্য শ্রমিকরা আতঙ্কে ছুটে পালালেন, কেউ সাহস করে কাছে এগোতে পারলেন না। কিন্তু একজন এগিয়ে এলেন—নাম তাঁর সিদ্দিকুর রহমান, জুড়ীর পাতিলাসাঙ্গনের এক যুবক, যিনি সেই মুহূর্তে হয়ে উঠলেন একজন জীবন্ত নায়ক। তবে সে যখন এগিয়ে আসে তখন তাকে সহযোগীতা করেন আরও কয়েকজন।
সিদ্দিকুর রহমান সুমন বললেন,“মানুষটা কাদামাটিতে কেবল চোখের সামনে ধুঁকছিল। কেউ সাহস পাচ্ছিল না। আমার কাছে তখন শুধু মনে হচ্ছিল লোকটাকে বাঁচাতেই হবে।”
হাতে কোদাল, গায়ে বৃষ্টির পানি, আর হৃদয়ে ছিল সাহস। তিনি ধীরে ধীরে মাটি সরাতে শুরু করলেন। একপর্যায়ে হাত ধরে টেনে তুললেন চাপা পড়া মানুষটিকে। চারপাশে দাঁড়িয়ে মানুষ তখনো অবিশ্বাসে তাকিয়ে এই যুবক একাই যা করলেন, তা সবাই মিলে করতেও সাহস পাচ্ছিল না।
ঘটনাটি ঘটে গতকাল রবিবার দুপুরে, মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলার সাগরনাল ইউনিয়নের পাতিলাসাঙ্গন গ্রামে। আহত শ্রমিকের নাম নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে স্থানীয়দের ধারণা তিনি পাশের ধামাই চা-বাগানের বাসিন্দা। ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সাহসী সিদ্দিকুর রহমানের প্রশংসায় ভরে যায় ফেসবুক।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শরফ উদ্দিন বলেন,“যুবকটি সময়মতো না গেলে সেই শ্রমিক হয়তো আর আজ আমাদের মাঝে থাকত না।”