সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. কামরুল হাসান, পিএসসি।
র্যাব জানায়, গত রবিবার (২৮ জুলাই) রাত আনুমানিক ১১টার দিকে টেকনাফ থানাধীন নয়াপাড়া রেজিস্টার্ড ক্যাম্প-২৬ এর পশ্চিম পাশের হাজীর প্রজেক্ট পাহাড়ের পাদদেশে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
অভিযানের সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাত দল দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। এসময় র্যাব ধাওয়া করে শফি ডাকাতকে আটক করে। তার সহযোগীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা ৩ রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
পরে গ্রেফতার শফির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার পাহাড়ি আস্তানা থেকে উদ্ধার করা হয়: ১টি ওয়ান শুটার গান,২টি একনলা বন্দুক,১টি এলজি,১০টি এন্টি পারসোনাল মাইন,১০টি ডেটোনেটর, ৫০টি তাজা রাইফেলের গুলি,৫৩টি রাইফেলের খালি কার্তুজ,৬টি শর্টগানের খালি কার্তুজ,৭৬৯ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস),৩টি গ্রেনেড।
অধিনায়ক কর্নেল কামরুল হাসান বলেন, শফি ডাকাত দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় একটি সশস্ত্র ডাকাত দলের নেতৃত্ব দিয়ে আসছিল। তার নেতৃত্বে দলটি স্থানীয় রোহিঙ্গা ও বাঙালিদের জিম্মি করে পাহাড়ি এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। এটি ছিল একটি চ্যালেঞ্জিং ও ঝুঁকিপূর্ণ অভিযান, যেখানে র্যাব সদস্যরা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্ব, কৌশল এবং সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন।
গ্রেফতার মো. শফি (২৮) টেকনাফ হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া মুছনি রেজিস্টার্ড ক্যাম্প-২৬, সি-ব্লক, ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিতে তাকে টেকনাফ থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।