ব্রাহ্মণবাড়িযার নবীনগর পৌর এলাকার ৫ নং ওয়ার্ডের আলীয়াবাদ উত্তর-পশ্চিমের বিল পাড়ায় রাস্তা ও ড্রেনের অভাবে ভোগান্তিতে দিন কাটছে শতাধিক পরিবারের। চলাচলে ব্যাহত ও ড্রেন না থাকায় সরছে না পানি। আটকে থাকা পানির দূর্গন্ধ ও মশার অভয়ারণ্য হয়ে উঠেছে।
সর জমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তা ও ড্রেনের অভাবে বন্দিদশায় ভুগছেন স্থানিয় বাসিন্দারা। এ যেন রোহিঙ্গা শরনার্থীদের কোন ক্যাম্প! কোথাও সর্বোচ্চ মাত্র ১ থেকে ২ ফুট চলাচলের উপযোগী রাস্তা আবার কোথাও বাড়ি-ঘর, রান্না ঘর, বার্থ রুম, কাদামাটির গলি দিয়ে চলতে হচ্ছে এখানকার বাসিন্দাদের। বৃষ্টি, বর্ষাকালে ভোগান্তি থাকে চরমে। উচু-নিচু বাড়ি-ঘরে তখন মাস ব্যাপিও থাকে পানি।
"বাংলাদেশের প্রথম শ্রেণীর পৌরসভা হয়েই এই অবস্থা না জানি কি অবস্থা দেশের দ্বিতীয় শ্রেনীর ও অন্যান্য পৌরসভার" বলে হতাশা প্রকাশ করেন স্থানিয় বাসিন্দারা।
খন্দকার মিরাজুল ইসলাম মিরাজ জানান, পৌর কর্তৃপক্ষের গুরুত্ব সহকারে একটি উদ্যোগ এখানকার বাসিন্দাদের দূর্ভোগ দূর করতে পারে। আন্তরিকতার অভাবের কারনে এখনো ভোগান্তিতে আমরা।
বিল্লাল মিয়া জানান, মাল-সামান নিয়ে আসা-যাওয়া করা যায় না। বড় কোন কিছু আনতে গেলে সারাদিন চলে যায়।
আল-আমিন মিয়া জানান, মানুষের বাড়ি-ঘরের চিপা-চাপা দিয়া, রান্না ঘর-বার্থ রুমের চিপা দিয়া হাঁটতে হয়। বৃষ্টি হলে হাঁটু পানি আটঁকে থাকে।
সাবেক কাউন্সিলর মো. নুরুজ্জামান জানান, আমরা অনেকবার চেষ্টা করেছি। এক সময় পুরোটা ছিলো বিল। এখন তো সব বাড়ি-ঘর হয় গেছে। কেউ সহজে নিজের জমি ছাড়তেও চায় না।
পৌর প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাজিব চৌধুরী বলেন, স্থানিয় বাসিন্দাদের দূর্ভোগ লাঘবে চেষ্টা করবো। যাতে করে উনারা আর ভোগান্তিতে না পরেন। সেজন্য এলাকাবাসীর সহযোগিতা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। রাস্তা-ড্রেন করতে গেলে কেউ জায়গা দিতে না চাইলে কাজ আটকে যায়৷ আমরা শীঘ্রই সরজমিনে গিযে বিস্তারিত জেনে রাস্তা- ড্রেনের জন্য বাজেট আনার চেষ্টা করবো।