চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার কৃষক রবিউল ইসলাম আজ এলাকার আলোচনার কেন্দ্রে। তার সযত্ন পরিচর্যায় গড়ে ওঠা আমবাগানে এখন থোকায় থোকায় ঝুলছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। কল্যাণভোগ, গৌড়মতি, কাটিমন থেকে শুরু করে নতুন জাতের বারি আম—সবই রয়েছে তার বাগানে। ঝলমলে রোদে আমের রং আর সুবাস যেন জানান দিচ্ছে সফলতার গল্প।
রবিউল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন ধরেই আমচাষ করে আসছেন, তবে গত কয়েক বছরে আধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ শুরু করার পর ফলন যেমন বেড়েছে, তেমনি লাভের পরিমাণও উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। “আগে শুধু মৌসুমে আম বিক্রি করতাম, এখন সারা বছর বাগান পরিচর্যা ও বাজার ব্যবস্থাপনায় যুক্ত থাকি। এলাকার ১০-১২ জন শ্রমিক আমার বাগানে নিয়মিত কাজ করছে,” বলেন রবিউল ইসলাম।
তার এই উদ্যোগ শুধু নিজের পরিবারের অর্থনৈতিক স্বচ্ছলতা এনে দেয়নি, বরং এলাকার আরও অনেক বেকার যুবককে প্রেরণা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিয়েছে।
স্থানীয় কৃষি কর্মকর্তারা বলছেন, রবিউলের মত কৃষকেরা যদি বিজ্ঞানসম্মত চাষে এগিয়ে আসেন, তাহলে গোমস্তাপুর আমচাষে দেশব্যাপী একটি মডেল হয়ে উঠতে পারে। তারা আরো জানান, জলবায়ু ও মাটি উপযোগী হওয়ায় এই এলাকায় অধিক পরিমাণে উন্নত জাতের আম চাষের সম্ভাবনা রয়েছে।
আশা করা হচ্ছে, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে গোমস্তাপুর হবে শুধু চাঁপাইনবাবগঞ্জ নয়, বরং সমগ্র উত্তরাঞ্চলের আমচাষের অন্যতম কেন্দ্র। আর সেই সাফল্যের গল্পের প্রথম সারিতে থাকবেন কৃষক রবিউল ইসলাম, যিনি স্বপ্ন দেখেন নিজের ঘামে লেখা সম্ভাবনার এক নতুন অধ্যায়।