সাংবাদিকের বসতবাড়ির আশপাশে কোনো সুষ্ঠু পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা না থাকায় প্রতিবেশী কয়েকটি বাড়ির জমে থাকা পানি ওভারফ্লো হয়ে সরাসরি তার বাড়ির আঙিনা ও ঘরের ভেতরে প্রবেশ করছে। ফলে বারান্দা থেকে শুরু করে ঘরের ভেতরের কক্ষ পর্যন্ত পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। এতে আসবাবপত্র, কাপড়চোপড় এবং ইলেকট্রনিক সামগ্রী নষ্ট হয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে পরিবারটি।
বাড়িটির অবস্থান গুরুত্বপূর্ণ একটি চৌরাস্তার মোড়ে হলেও, মেইন রোড সংলগ্ন এলাকায় কোনো ড্রেনেজ ব্যবস্থার অভাব স্পষ্ট। ফলে আশপাশের এলাকার পানি জমে একত্রিত হয়ে পুকুর ছাপিয়ে ঘরে ঢুকছে। স্থানীয়ভাবে শ্রমিক লাগিয়ে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করা হলেও উচ্চতা নিচু হওয়ায় তা কার্যকর হয়নি।
এ প্রসঙ্গে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার সেলিম বলেন,বর্ষায় অনেক জায়গাই তলিয়ে গেছে। আমার নিজের বাড়ির পুকুর পর্যন্ত পানি চলে এসেছে। সাংবাদিক আলীম সাহেবের বাড়ির সামনে মেইন রোডে কোনো ড্রেন নেই এই কারণেই এ সমস্যা। সামনে নির্বাচনে জয়ী হলে ড্রেনেজ ব্যবস্থা তৈরি করব।"
বর্তমানে দায়িত্বপ্রাপ্ত ৬ নম্বর ওয়ার্ড ইনচার্জ উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিদ্যুৎ রঞ্জন সাহা জানান, আপনি আজকেই লিখিত অভিযোগ দিন। আমি পরবর্তী উপজেলা সমন্বয় সভায় বিষয়টি ইউএনও মহোদয়ের মাধ্যমে উপস্থাপন করব। দ্রুত সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
দুর্ভোগে থাকা সাংবাদিক গাজী আব্দুল আলীম বলেন, প্রতিদিন পানির মধ্যে বসবাস করতে হচ্ছে। শুধু আমার না, আশপাশের আরও অনেক পরিবার এই সমস্যায় আছে। দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে অবস্থা আরও খারাপ হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, দ্রুত আধুনিক ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে পুরো এলাকার নাগরিক জীবনে আরও ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে। পৌর কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।