কয়রার মহারাজপুর ইউনিয়নে ভালনারেবল ওমেনস প্রোগ্রাম (ভিডব্লিউবি) এর ৫২০ জন সুবিধাভোগী নারীর সঞ্চিত টাকা ইসলামী ব্যাংকের অন্তাবুনিয়া এজেন্ট শাখায় নিরাপদেই রয়েছে।
ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ জানিয়েছেন, প্রতিটি গ্রাহক যেন স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় এবং সম্মানের সঙ্গে তাদের সঞ্চয় ফেরত পান এ বিষয়ে তিনি আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
সম্প্রতি একটি সংবাদে দাবি করা হয়, ইউপি চেয়ারম্যান সুবিধাভোগীদের সঞ্চয়ের টাকা নিজ দায়িত্বে জমা না দিয়ে বিলম্ব করছেন। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন চেয়ারম্যান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “এই কর্মসূচির প্রতিটি ধাপ আমি সততার সঙ্গে পরিচালনা করেছি। পরিষদের তহবিলে টাকা রাখা হয়েছিল অস্থায়ীভাবে, কারণ এলাকায় কোনো পূর্ণাঙ্গ ব্যাংক শাখা নেই। পরবর্তীতে ইসলামী ব্যাংকের অন্তাবুনিয়া বাজার এজেন্ট শাখায় টাকা জমা দেওয়া হয়। এখন ব্যাংকীয় প্রক্রিয়া অনুযায়ী দ্রুত তা ফেরতের কাজ চলছে।”
ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সুবিধাভোগীদের নামে চলতি বছরের শুরুতে একাধিক হিসাব খোলা হয় এবং সেগুলোতে নির্ধারিত টাকা জমা হয়েছে। নিরাপত্তার কারণে হিসাবের বিস্তারিত তথ্য না জানালেও তারা নিশ্চিত করে বলেন, টাকা সুরক্ষিত রয়েছে।
চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন, “আমি প্রতিটি সুবিধাভোগী নারীর অধিকার রক্ষায় সচেষ্ট। তাদের কষ্টার্জিত সঞ্চয়ের প্রতি আমার দায়বদ্ধতা আছে। একটি মহল উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আমার ব্যক্তিগত ও প্রশাসনিক ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাচ্ছে।”
মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ইউনিয়নের সুবিধাভোগীরা যাতে দ্রুত সঞ্চয় ফেরত পান, সে বিষয়ে চেয়ারম্যানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি ইতিমধ্যেই পদক্ষেপ নিয়েছেন। টাকা ইসলামী ব্যাংক অন্তাবুনিয়া এজেন্ট ব্যাংকে আছে। গ্রাহকরা সবাই টাকা ফেরত পাবেন।
কয়রা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আব্দুল্লাহ আল বাকী জানান, কর্মসূচির নিয়ম অনুযায়ী সুবিধাভোগীদের টাকা ফেরতের বিষয়টি নিশ্চিত করা হবে।
স্থানীয় সচেতন মহল মনে করেন, চেয়ারম্যান মাহমুদ একজন দায়িত্বশীল জনপ্রতিনিধি হিসেবে শুরু থেকেই ভিডব্লিউবি কর্মসূচিতে সক্রিয় ও মানবিক ভূমিকা রেখে চলেছেন। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি তার অঙ্গীকারই প্রমাণ করে, তিনি শুধু একজন প্রশাসক নন, বরং মানুষের আস্থার প্রতীক।