কক্সবাজারের মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের বড়দিয়া এলাকার প্যারাবনের সৃজিত বাইন গাছ কেটে বন বিভাগের জমিতে বিএনপির নেতার অবৈধভাবে তৈরি করতে যাওয়া চিংড়ি ঘের গুড়িয়ে দিয়ে ৫০ একর জমি দখলমুক্ত করেছে বন বিভাগ।
৩ আগষ্ট রবিবার সকাল ১০ থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগীয় বন কর্মকর্তা, উপকূলীয় বন বিভাগ চট্টগ্রাম ও সহকারী বন সংরক্ষক কক্সবাজারের নির্দেশে গোরকঘাটা রেঞ্জের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আইয়ুব আলীর নেতৃত্বে বিট কর্মকর্তা বড়দিয়া, বিট কর্মকর্তা ঘটিভাঙ্গা, বিট কর্মকর্তা ঝাপুয়া সহ সকল বিটের স্টাফ ও অর্ধশতাধিক লেবার নিয়ে অভিযান চালিয়েছে এ উচ্ছেদ অভিযানে অংশ বনবিভাগ।
জানাযায়, উপজেলার বড়দিয়া বিটের ঘটিভাঙ্গা মৌজার ১০০২ নং দাগ ও দাগ সংলগ্ন চর ভরাট এলাকার সংরক্ষিত বন ভূমিতে বাইনগাছ কেটে চিংড়ী ঘের তৈরির খবর পেয়ে বড় ধরনের অভিযান পরিচালনা করে বন ভূমি উদ্ধার করা হয় ।
মহেশখালী পরিবেশবাদী সংগঠন, এলাকার সচেতন মহল ও বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়,বাইন গাছ কাটা ও অবৈধ ভাবে চিংড়ি ঘের করার সাথে সরাসরি জড়িত: মহেশখালী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বড় মহেশখালী ইউনিয়নের আমান উল্লাহ তারই গ্রুপের এক (বি, এন, পি)র নেতার নির্দেশে (১) লিয়াকত আলী মনু তার আপন চাচাতো ভাই(২) খায়রুল আমিন, তার ভাতিজা (৩)আজম উল্লাহ, ভাতিজা (৪) আবদুল গফুর, চাচাতো ভাই (৫) আবু বক্কর, ভাতিজা (৬) আবু সৈয়দ ভেট্রা, ভাতিজা সম্মিলিত ভাবে গ্রুপ হয়ে আনুমানিক ৫০ একর বনভূমির বাইন গাছ কেটে চিংড়ি ঘের করার চেষ্টা করছিল। মহেশখালী বন বিভাগের লোকজন খবর পেয়ে অভিযান পরিচালনা করে জবর দখল মুক্ত করা হয় ।
স্থানীয় পরিবেশ বাদী সংগঠনের নেতারা জানান, অপদখলকারী যেই দলেরই হোক না কেন; তাদের বয়কট করা উচিত। ভূমিদস্যুদের অবৈধ জবর দখলের কারনে মহেশখালী উপকূলীয় এলাকায় ব্যাপক হারে বন কমে গেছে। যার কারণে মহেশখালীবাসীকে ঘূর্ণিঝড়ের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়তে হচ্ছে বারংবার।
ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে বনযণ বিভাগের সফল অভিযান দেখে বন বিভাগের সংশ্লিষ্টদের প্রতি সাধুবাদ জানান স্থানীয় সচেতন লোকজন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বন আইনে মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়াধীন বলে জানান গোরকগাটা রেঞ্জ কর্মকর্তা মোহাম্মদ আইয়ুব আলী।