গাইবান্ধার বহুল প্রত্যাশিত তিস্তা সেতুর উদ্বোধন ২ আগষ্ট হওয়ার কথা থাকলেও তা পরিবর্তন করে আগামী ২৫ আগস্ট নির্ধারন করা হয়েছে। গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী উজ্জ্বল চৌধুরী উদ্ধোধনের তারিখ পেছানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপনের জন্য তিস্তা নদীর ওপর এই সেতু নির্মিত হয়েছে। যানবাহন ও সাধারণ মানুষের চলাচলের জন্য আগামী ২৫ আগস্ট খুলে দেওয়া হবে এ তিস্তা সেতু।
প্রায় ১ হাজার ৪৯০ মিটার দৈর্ঘ্যের এই সেতুটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)’র নির্মিত অন্যতম বৃহৎ সেতু। এটি গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার হরিপুর ও কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার মধ্যে সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে দুই জেলার মধ্যে সরাসরি সড়ক পথে যোগাযোগ সৃষ্টি করবে।।
সেতুটিতে বসানো হয়েছে ৩২টি স্প্যান। রং, লাইটিংসহ গোটা সেতুর অবকাঠামো এখন নয়নাভিরাম। সম্ভবনার স্বপ্নের সেতুর বাস্তব দৃশ্য দেখতে প্রতিদিন তিস্তা পাড়ে ভীর করছে মানুষ।
স্থানীয়রা জানান, সেতুটির কারনে দু-পাশে স্থায়ী ভাঙ্গন প্রতিরোধ ব্যবস্থা নেওয়ায় বন্ধ হয়েছে ওই এলাকার নদী ভাঙ্গন। কুড়িগ্রাম, উলিপুর, নাগেশ্বরী, ভুরাঙ্গামারী, চিলমারীর সাথে সড়ক পথে ঢাকায় যাওয়ার সময় কমে আসবে প্রায় ৪ ঘন্টার। সড়ক যোগাযোগ সৃষ্টিসহ দুরুত্ব কমবে গাইবান্ধার সাথে কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটসহ তিস্তা ওপারের জেলা গুলোর। পাল্টে যাবে দু-পাড়ের মানুষের জীবনমানের ধারা, ঘটবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন।
সেতুর পাশাপাশি এর উভয়পাশে স্থায়ীভাবে নদী শাসন করা হয়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার। সেতুর উভয় পাশে সংযোগ সড়ক নির্মাণ করা হয়েছে ৮৬ কিলোমিটার। দীর্ঘ প্রত্যাশিত এ সেতুটি এখন জনসাধারনের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়ার শেষ পর্যায়ের কাজ চলমান আছে।
উল্লেখ্য: ২০১৪ সালের ২৬ জানুয়ারি সেতুটির কাজের ফলক উম্মোচন করা হয়। কিন্তু এর নির্মান কাজ শুরু হয় ২০২১ সালে। নির্মান ব্যায় হয় ৭শ ৩০ কোটি ৮৫ লাখ টাকা।