বর্তমানে পুরুষের পাশাপাশি নারীরাও কর্মক্ষেত্রে অবদান রাখছেন। উদ্যোক্তা হয়ে অনেকে হয়েছেন সফলও। তেমনি এক সফল নারী উদ্যোক্তা ভোলার চরফ্যাশনের মেয়ে পিংকি। যিনি নিজ উদ্যোগে কঠোর পরিশ্রম করে আজ আয় করছেন মাসে ১০ লাখ টাকা।
তার এই সাফল্য শুধু আর্থিক ভাবে লাভবান নয়, বরং এটি সামাজিক অনুপ্রেরণার গল্প, যেখানে আত্মবিশ্বাস, পরিশ্রম এবং সঠিক পরিকল্পনা মিলেই একটি সফলতার গল্প।
বর্তমানে ৯টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন পিংকি। যাতে কর্মরত আছেন ৬৪ জন লোক। ভাগ্য বদল হয়েছে তাদেরও। ২৭বছরের পিংকি ভোলা জেলার চরফ্যাশন উপজেলার আবুবকপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা।
তার বেড়ে উঠা গ্রামেই। পিংকী অল্প বয়সেই পেয়েছেন সফলতা। অনুপ্রেরনা যুব সমাজের।মাদ্রাসা থেকে কামিল পাশ করে বর্তমানে মাস্টার্সে অধ্যয়নরত আছেন পিংকী। পিংকি জানান, পিংকির ২০১৬ সালে যাত্রা শুরু হয়েছিল একটি ছোট উদ্যোগ থেকে।
পড়াশোনার পাশাপাশি ১০০ টি লেয়ার মুরগী দিয়ে ব্যবসা শুরু তার। এতে ব্যপক সাড়া পেয়ে গড়ে তোলেন তিন একর জমির উপর হাস, মুরগী ও গরুর খামার। বাবার কাছ থেকে পাওয়া স্বল্প পূঁজি আর ব্যাংক ঋণ নিয়ে গড়ে ওঠে তার স্বপ্নের খামার। একে একে গড়ে তোলেন ৯টি প্রতিষ্ঠান।
নাম দেন প্রয়োজন গ্রুপ। বর্তমানে তিনি পরিচালনা করছেন প্রয়োজন খামার, প্রয়োজন হাউজিং, প্রয়োজন ফ্যাশন হাউজ ও বিউটি পার্লার, প্রয়োজন ঘরোয়া খাবারসব এজেন্ট ব্যাংকিং সেবা। তার এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি মাসে আয়১০ লাখ টাকা। এমনটাই জানান পিংকি।
এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন মাসে ৪লাখ টাকার বেশি। পিংকি বলেন তার এই যাত্রা পথ খুব বেশি মসৃন ছিলনা। সমাজের নানা প্রতিবন্ধকতা ও পুঁজি স্বল্পতার অভাব তাকে নানা বাঁধার সম্মুখীন করেছিল। কিন্তু তিনি কখনো হাল ছাড়েননি। তিনি আরো জানান, সরকার যদি তাকে সহযোগিতা করে তাহলে সে তার ব্যবসা আরো বাড়াবেন এবং অন্তত ৫ হাজার লোকের কর্মস্থানের সুযোগ হবে।
সচেতন মহল মনে করেন পিংকি সমাজের এক উজ্জল দৃষ্টান্ত। তার এই সফলতা অন্যদের জন্য অনুকরনীয়।