জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রেজিস্ট্রার কর্তৃক এক শিক্ষককে অপমান ও অসদাচরণের অভিযোগে তার পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
রোববার (৩ আগস্ট) দুপুর ২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষা শহিদ রফিক ভবনের নিচে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা “স্বৈরাচারের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না”, “এক দুই তিন চার, রেজিস্ট্রার গদি ছাড়”, “স্বৈরাচারের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে” এমন প্রতিবাদী স্লোগানে ক্যাম্পাস প্রকম্পিত করেন।
গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ইব্রাহিম খলিল বলেন, “দুঃখজনক হলেও সত্যি, রেজিস্ট্রারের দপ্তরে আমরা যৌক্তিক দাবি নিয়ে গেলে তিনি সহানুভূতির বদলে বিরূপ ও অপমানজনক আচরণ করেন। একজন প্রশাসনিক কর্মকর্তার এমন ব্যবহার শুধু শিক্ষার্থীদের নয়, গোটা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ও মর্যাদাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। তিনি আমাদের বিভাগের একজন শিক্ষকের সাথেও একই রকম আচরণ করেছেন। আমরা বলতে চাই, জুলাই পরবর্তী সময়ে এমন স্বৈরাচারী আচরণ মেনে নেওয়া হবে না।”
একই বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী জোবায়ের হোসেন বলেন, “রেজিস্ট্রার এখন যেন ক্ষেপে যাওয়া বাছুরের মতো আচরণ করছেন। যদি ক্ষেপেই যেতে চান, তাহলে মাঠে গিয়ে ক্ষেপুন। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বৈরাচারের দোসরদের কোনো জায়গা হবে না।”
জানা গেছে, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের একজন শিক্ষক ইউজিসি ফান্ডেড একটি স্কলারশিপ পাওয়ার পর, ইউজিসি প্রদত্ত শর্ত অনুযায়ী একটি ত্রিপক্ষীয় চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করাতে গেলে রেজিস্ট্রারের অসহযোগিতা ও অবমাননাকর আচরণের মুখোমুখি হন। স্বাক্ষরের মতো সহজ কাজেও তাকে বারবার অবজ্ঞা করা হয়। কখনও বলা হয়, ‘তাড়াহুড়ো করলে আরও দেরি হবে’, কখনও আবার ‘লাঞ্চ টাইম’ বলে তাকে কক্ষ ত্যাগ করতে বলা হয়। এমনকি রেজিস্ট্রার বলেন, “আমি স্বাক্ষর করার জন্য এখানে বসে নেই।”
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা দ্রুত রেজিস্ট্রারের অপসারণ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে দায়িত্বশীল প্রশাসন প্রতিষ্ঠার দাবি জানিয়েছেন।