× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

স্বাধীনতার ৫৪ বছরেও সেতু বঞ্চিত মাদারগঞ্জের ১৫ গ্রামের মানুষ

হৃদয় হাসান,মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি।

০৪ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৩৫ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

জামালপুরের মাদারগঞ্জে পাকা সড়ক ও সেতু না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছে অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষ। এতে প্রায় ৫০ হাজার মানুষের চলাচলে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। চলাচলের একমাত্র মাধ্যম বাঁশের সাঁকো পেরিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে।

উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের নাংলা বাঁধের মাথা এলাকায় পাকা সড়ক ও যমুনার শাখা নদীতে সেতু না থাকায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকো দিয়ে দু’উপজেলার অন্তত ১৫ গ্রামের মানুষকে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ফলে প্রতিদিন বৃদ্ধ, নারী, শিশু, রোগী, স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় কৃষকরা চলাচলে দুর্ভোগে পড়ছেন।

এদিকে  সেতু না থাকায় অ্যাম্বুলেন্স চলাচল করতে পারে না এসব এলাকায়। ফলে মুমূর্ষু রোগী ও গর্ভবতী নারীরা পড়ছেন বিপদে। দেড় যুগেরও বেশি সময় ধরে জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়কে সেতু নির্মাণ না হওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচন এলে স্থায়ী সেতু নির্মাণ করে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও পরে আর কোনো উদ্যোগ নেন না। বছরের পর বছর জনপ্রতিনিধিদের কাছে ঘুরেও সেতুর বিষয়ে মিলছে না কোনো সমাধান।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ সাঁকো দিয়ে মাদারগঞ্জ উপজেলার বালিজুড়ী ইউনিয়নের নাংলা, নাদাগাড়ী, পশ্চিম সুখনগরী, জোড়খালী ইউনিয়নরে ফুলজোড়, কাইজের চর, আতামারী, বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলার কর্ণিবাড়ী ইউনিয়নের শোনপঁচা, নান্দিনা চর, ডাকাতমারী, বোহাইল ইউনিয়নের ধারাভর্ষা, শংকরপুর, জাওনের চরসহ ১৫ গ্রামের মানুষ পারাপার হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নাংলা বাঁধের মাথা এলাকায় প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্যের বাঁশের সাঁকোটি কয়েক বছর আগে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে। সাঁকোটির পাটাতনের কাঠ নষ্ট হয়ে গেছে। কাঠ ভেঙে অনেক স্থানে ফাঁকা হয়ে আছে। বৃষ্টির পানিতে কাঠ ও বাঁশে পচন ধরেছে। লোকজন চলাচলের সময় সাঁকোটি দুলতে থাকে। এরপরও প্রতিদিন দু’পাড়ের প্রায় ১০ হাজার মানুষ ওই ভাঙা নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করে।

নাংলা এলাকার মনির হোসেন বন্যা  বলেন, যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো না থাকায় এই এলাকায় মানুষ আত্মীয়তা করতে চায় না। আর কত কষ্ট করবে এই এলাকার মানুষ? আমরা এখানে একটা সেতু চাই।

ডাকাতমারা এলাকার কৃষক সোলাইমান মন্ডল বলেন, সেতু না থাকায় এ অঞ্চলের কৃষক তাদের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ঠিক সময়ে বাজার নিতে পারে না। ফলে কৃষক ন্যায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়। এখানে একটি সেতু হলে কৃষকদের খুব উপকার হবে।

বালিজুড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মঞ্জুরুল ইসলাম মুসা বলেন, একটি সেতুর অভাবে ১৫টি গ্রামের স্কুলকলেজের শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষকে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এ বাঁশের সাঁকো ছাড়া ওই অঞ্চলের মানুষকে প্রায় পাঁচ থেকে সাত কিলোমিটার পথ ঘুরে বাজার, ইউনিয়ন পরিষদ ও উপজেলা শহরে যাতায়াত করতে হয়। সেতু নির্মাণ হলে এলাকাবাসীর কষ্ট অনেকটাই কমে আসবে।

উপজেলা  প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া তমাল বলেন, গাবেরগ্রাম-নাংলা সড়কের নাংলা বাঁধের মাথা সড়কটি পাকা হওয়া প্রয়োজন। তবে সড়কটির আইডি নেই। আগে আইডির জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, এটি দ্রুততম সময়ে অনুমোদন হবে। আইডি হলে সেখানে কোন চেইনেজের সেতু প্রয়োজন সেটি উল্লেখ করে প্রস্তাব পাঠানো হবে।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.