পটুয়াখালীর দুমকিতে টানা বৃষ্টিতে সৃষ্ট অসংখ্যে খানাখন্দের এলজিইডি সড়কে যানবাহন চলাচলে জনদুর্ভোগ দেখা দিয়েছে। মাঝে মাঝে রাস্তার ইটসুড়কি দেবে ও উঠে যাওয়ায় ছোটবড় গর্তের সৃষ্টি হয়ে মালবাহি ট্রাক, ভটভটি, রিস্কা-ভ্যান আটকে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার পাঙ্গাশিয়া নেছারিয়া মাদ্রাসা টু হাজিরহাট বাজার ভায়া ধোপারহাট এলজিইডি সড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে রাস্তা ভেঙ্গে ইট, সুড়কি উঠে ও দেবে সৃষ্ট অসংখ্যে খানাখন্দের কারণে যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বৃষ্টির মৌসুমে খানাখন্দ ও ছোটবড় গর্তে পানি কাদায় পরিপূর্ণ হয়ে আছে। প্রতিনিয়ত মালবাহী ট্রাক, মিনিট্রাক, অটোভ্যান এমনকি টমটম আটকে পড়ছে। এতে ধোপারহাট ও হাজিরহাটের ব্যবসায়িদের পণ্য পরিবহনে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
ধোপারহাটের ব্যবসায়ি মোঃ শাহজাহান জানান, বাজারের একমাত্র রাস্তাটির এমন বেহাল অবস্থার কারণে ব্যবসায়িসহ এলাকাবাসিদের ভোগান্তি পোহাতেহচ্ছে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত হাসপাতালে পাঠাতে কোন যানবাহন পাওয়া যাচ্ছে না। রাস্তায় আটকে পরার ভয়ে কোন এ্যাম্বুলেন্স ওই রাস্তায় ঢুকতে চায় না। ফলে রিস্কা-ভ্যানে পায়ে ঠেলে যাতায়ত করতে হচ্ছে।
রাজগঞ্জের বাসিন্দা মো: নানু মৃধা বলেন, দীর্ঘদিন সংস্কার বিহীন পড়ে থাকায় রাস্তার ইট খোয়া ওঠে ও থেকে থেকে ভেঙ্গে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। এত বাজারের ব্যবসায়ি, হাটুরেসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পাঙ্গাশিয়া আল-মদীনা মহিলা মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মোঃ দেলোয়ার হোসেন সাঈদী জানান, বৃষ্টিতে মাদ্রাসার ছাত্রীদের যাতায়তে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। কাদা পানিতে পড়ে গড়াগড়ি খেয়ে বই-পুস্তক লেপটে ফেলছে অনেক শিক্ষার্থী। সড়কটি শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ পথচারিদের চরম ভোগান্তি হচ্ছে। শীঘ্রই রাস্তাটি মেরামতের দাবি করেছেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী মো: মনিরুজ্জামান বলেন, অগ্রাধিকার বিবেচনায় সড়কটির সংস্কার প্রস্তাব পাঠানো হবে। প্রয়োজনীয় বরাদ্দ পেলে দ্রুততার সাথে রাস্তাটির মেরামত কাজ শুরু করা হবে।