ভোলার চরফ্যাশনে সংখ্যালঘু পরিবারের দুই ভাইকে গলা কেটে হত্যা করে এরপর মরদেহ পুড়িয়ে ফেলার মামলার প্রধান তিন আসামির ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে চরফ্যাশন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের এডিশনাল জজ শওকত হোসাইন এই রায় প্রদান করেন।
এই রায়ে মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে প্রধান তিন আসামি বেল্লাল হোসেন, সালাউদ্দিন বয়াতি ও শরিফুল ইসলামকে ফাঁসির আদেশ প্রদান করেন। বাকি দুই আসামির মধ্যে আবুল কাশেমকে পাঁচমাস ও আবু মাঝিকে ছয়মাস কারাদণ্ড প্রদান করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে শরীফুল হোসেন কারাগারে থাকলেও বাকি দুই আসামি বেলাল ও সালাউদ্দিন পলাতক রয়েছে।
এদিকে হত্যা মামলার রায় প্রকাশে সন্তোষ প্রকাশ করে এই মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী হযরত আলী হিরণ বলেন, এটি হচ্ছে চরফ্যাশন উপজেলার ঐতিহাসিক রায়। এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণ হলো এখনো দেশে ন্যায় বিচার রয়েছে। এর জন্য তিনি এই মামলার বিচারক এডিশনাল জজ শওকত হোসেনের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
একই সাথে মামলার রায়ের প্রতি সন্তোষ প্রকাশ করেন বাদী পক্ষের লোকজন। তারা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদেরকে গ্রেপ্তার করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদেরকে ফাঁসির মঞ্চে ঝুলানোর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত ২০২১ সালের ৭ এপ্রিল, উপজেলার আসলাম পুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে সুন্দরী খালের পশ্চিম পাশে জামাল ভূইয়ার নির্জন বাগানে দুইটি মাথাবিহীন, শরীর আগুন দিয়ে ঝলসানো লাশ পাওয়া যায়। তার কিছুদিন পরে একই গ্রামের জনৈক মহিবুল্লাহ'র বাড়ীর টয়লেটের ট্যাংকির ভিতরে ভিকটিমদের কাটা মাথার খুলি উদ্ধার করে পুলিশ। ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে নিশ্চিত হওয়া যায় যে, লাশ দুইটি চরফ্যাশন পৌরসভা তিন নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা আপন দুই ভাই দুলাল চন্দ্র শীল এবং তপন চন্দ্র শীল। এ ঘটনা পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে।