ছবিঃ সংগৃহীত।
রাজধানীর দয়াগঞ্জ এলাকায় অস্ত্রধারী ছিনতাইকারীদের হামলার শিকার হয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাইন ইসলাম পবন ও তার বড় ভাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তানজিদুল হক।
গত শনিবার (২ আগস্ট) রাতে এই ঘটনা ঘটে। ছিনতাইকারীদের হামলায় আহত হলেও ভাগ্যক্রমে প্রাণে বেঁচে যান দুজনেই। তবে ঘটনার পর পুলিশি তৎপরতার অভাব ও জিডিতে তথ্য বিকৃতির অভিযোগ তুলেছেন ভুক্তভোগীরা।
ঘটনার বিবরণ অনুযায়ী, তানজিদুল হক বরিশাল থেকে ঢাকায় আসার পর ছোট ভাই পবন তাকে ধোলাইপাড় থেকে রিসিভ করে রিকশায় করে বাসার পথে রওনা দেন। পথিমধ্যে দয়াগঞ্জ ইবনে সিনা হাসপাতালের সামনে ৭ থেকে ৯ জন অস্ত্রধারী তাদের রিকশা থামিয়ে ছুরি, চাকু ও সুইস গিয়ার দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। একপর্যায়ে তানজিদুল হকের পায়ে আঘাত করে ছিনতাইকারীরা।
তারা পকেট থেকে একটি আইফোন ১৪ প্রো ম্যাক্স, মানিব্যাগে থাকা ৬ হাজার টাকা, পবনের একটি বাটন ফোন এবং মানিব্যাগে থাকা ৫০০ টাকা লুট করে পালিয়ে যায়।
ঘটনার পরপরই ভুক্তভোগীরা গেন্ডারিয়া থানার পাশে তিন রাস্তার মোড়ে একটি টহল পুলিশ টিমের কাছে সহায়তা চাইলে তারা জানান, ঘটনাস্থল যাত্রাবাড়ি থানার অন্তর্ভুক্ত। পরে যাত্রাবাড়ি থানায় গিয়ে অভিযোগ জানালেও পুলিশের দায়সারা মনোভাব প্রত্যক্ষ করেন তারা।
ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেন, থানায় বিস্তারিতভাবে ঘটনার বর্ণনা দেওয়া হলেও সাধারণ ডায়েরিতে ছিনতাইয়ের বিষয়টি উল্লেখ না করে শুধু ফোন হারানোর ঘটনা হিসেবে দেখানো হয়। এতে প্রকৃত ঘটনা আড়াল হয় এবং ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
তানজিদুল হক বলেন, “ছিনতাইয়ের মতো ভয়ানক অপরাধকে ফোন হারানো হিসেবে জিডি করা পুলিশের দায়িত্ব এড়ানোর নমুনা। এভাবে চলতে থাকলে অপরাধীরা বারবার একই অপরাধ করে পার পেয়ে যাবে। অথচ পুলিশ নিজেরাই দয়াগঞ্জ এলাকাকে ছিনতাইয়ের ‘হটস্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা ভাগ্যক্রমে বেঁচে ফিরেছি। কিন্তু প্রতিদিনই এই এলাকায় এমন ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন এখনই ব্যবস্থা না নিলে যে কোনো দিন একজন শিক্ষার্থী প্রাণ হারাতে পারে।”
এলাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীরা জানান, দয়াগঞ্জ ইবনে সিনা ব্রিজ এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ চোখে পড়ছে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, শিক্ষার্থীদের চলাচলের গুরুত্বপূর্ণ রুটে পুলিশের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করাটা চরম অবহেলার শামিল।
এ বিষয়ে যাত্রাবাড়ি থানার এসআই মো. কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, “আমরা ফোন ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অপরাধীদের শনাক্ত ও মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা করছি। ঘটনার বিষয়ে কোনো আপডেট পেলে দ্রুত ভুক্তভোগীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হবে।”
তবে জিডিতে ছিনতাইয়ের উল্লেখ না থাকা এবং পুলিশের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh