প্রতি বছর সরকারী কিংবা বিভিন্ন সংস্থা থেকে চারা বিতরণ করা হচ্ছে। এসব চারা বাড়িসহ আশপাশে গাছ লাগিয়ে বনায়ন আকারে সৃষ্টি করতে হবে। কেননা পাহাড়ি অঞ্চলে জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং পরিবেশ সুরক্ষার জন্য বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামীতেও সকলকে নিজ নিজ স্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের চারা রোপন করে পাহাড়ে বনায়ন সৃষ্টি করার আহ্বান জানান।
বুধবার সকালে কুহালং পরিষদ সভা কক্ষে নিবন্ধিত শিশুদের মাঝে ফলজ ও বনজ চারা বিতরণকালে এসব মন্তব্য করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মারুফা সুলতানা খান হীরা।
এসময় ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ চট্টগ্রাম এসিও সহযোগিতায়ও গ্রাউস (গ্রাম উন্নয়ন সংগঠন)-বিএসএপি প্রোগ্রাম এর বাস্তবায়নে এই কর্মসূচি গ্রহন করা হয়।
সভায় জামছড়ি ও রাজবিলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ক্যাসিং শৈ ও ক্য অংপ্রু মারমা বক্তব্যে বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনে এবং দূর্যোগ মোকাবেলায় আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং একসাথে কাজ করতে হবে। অপরিকল্পিত বন ধ্বংস, মাটি কাটা সহ বালু উত্তোলন এসব বন্ধ করতে হবে। এ বিষয়ে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান জনপ্রতিনিধিরা।
অনুষ্ঠান শেষে কুহালং, জামছড়ি ও রাজবিলাসহ তিন ইউনিয়নের ১হাজার ৮শত ৯৩ জন নিবন্ধিত শিশুদের মাঝে ৪২১০টি ঔষধি ও ফলজ চারা, ১৬৮৪ টি মেলামাইন প্লেট ও অতি দরিদ্র পরিবার জন্য ৩২৪০টি ঔষধি ও ফলজ চারা তুলে দেন অতিথিরা।।
এসময় গ্রাউসের পিএফএ কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার মি: উসাইমং মারমা, পোগ্রাম ম্যানেজার তুলু মারমা, কুহালং কমিউনিটি ডেভেলপমেন্ট অফিসার চিং থোয়াই উ মারমাসহ শতাধিক নারী ও শিশুরা উপস্থিত ছিলেন।