সাতক্ষীরায় টানা বর্ষণে ডুবে গেছে বিস্তির্ণ এলাকার কৃষিজমি। এতে আউশ, শাক-সবজি ও আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে ব্যাপকভাবে। ৫শ’ কোটি টাকারও বেশি ক্ষতিতে দিশেহারা কৃষক। গ্রীষ্মকালে লবনাক্ততা আর বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা,পথে বসার উপক্রম করে দিচ্ছে সাতক্ষীরার চাষিদের।
সাতক্ষীরার মাঠে এ মৌসুমে আউশ ধান ও শাক-সবজির ক্ষেতে সবুজের সমারোহ। কিন্তু জুলাইজুড়ে অতিবর্ষণের ফলে জলাবদ্ধতায় শেষ হতে চলেছে কৃষকের স্বপ্ন ।
সাতক্ষীরা আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা যায়, জেলায় জুলাই মাসে ৭শ’৬৯ মি,মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রে জানা যায়, জেলায় ৬ হাজার ৬৩ হেক্টর আউশ ও ৩ হাজার ৮শ’ ৯৫ হেক্টর শাক-সবজির মধ্যে ডুবে নষ্ট হয়ে গেছে এক তৃতীয়াংশ। আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে অর্ধেক। আর আংশিক ক্ষতি হয়েছে শত শত হেক্টর জমির ফসল।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলার শিবপুর এলাকার চাষি মাহফুজ আহমেদ জানান,‘‘ আমার তিন বিঘা জমিতে আউশ ধান লাগানো ছিল। ধানের শীষ প্রায় পেকে গিয়েছিল। কিন্তু অতিবর্ষায় ক্ষেত ডুবে ধান গাছ পড়ে গেছে। এক ছটাক ধান তোলা সম্ভব হবেনা। ’’
একই অবস্থা সবজিক্ষেতের। সবজি ক্ষেত ডুবে যাওয়ায় বাজারে সবজির দামেও আগুন। বাজারে এক কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ১শ’ টাকায়।
এপ্রসঙ্গে,তালার নগরঘাটা গ্রামের আব্দুর রহমান জানান,‘‘ আমার ২ বিঘা জমিতে ঢেঁড়স,বেগুন ও পুইশাক লাগানো ছিল্। ক্ষেতে হাটু অবধি পানি জমেছে। পুঁইশাক ছাড়া আর সব শেষ। ‘’
জেলা জুড়ে রোপা আমন ধানের বীজতলা এখন পানির নিচে। অনেকে আবার দু’বার বীজতলা করেও রক্ষা পাননি।
এবিষয়ে সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ইকবাল হোসেন বলেন,‘‘ সাতক্ষীরায় অতিরিক্ত বর্ষায় অধিকাংশ এলাকা জলাবদ্ধ হওয়ায় কৃষির খুব ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের প্রণোদনা দেওয়ার জন্য আমরা চাহিদাপত্র অধিপ্তরে পাঠিয়েছি। ‘’ তিনি নালা কেটে উচু জমিতে বীজতলা তৈরি করার পরামর্শ দেন।