পার্বত্য জেলার রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়নের ধলিয়া মুসলিম পাড়ার একমাত্র রাস্তার বেহাল দশা। একটু বৃষ্টি রাস্তায় সৃষ্ট একাধিক গর্ত আর কাদা মাটিতে হাহাকার হয়ে খানাখন্দে ভরপুর হয়ে পড়ে সড়কটি।
সড়কের বেহাল দশায় দিন দিন ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সেই সাথে সড়কটি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের থেকে গত কয়ক বছর আগে অর্ধেক অংশ কাজ করা হলেও বাকি অংশ দীর্ঘ বছর ধরে কোন কাজ না হওয়ায় একটু বৃষ্টি এলেই সড়কে নাজুক অবস্থা সৃষ্টি হয়।সামন্য বৃষ্টিতে ব্যাপক জলবদ্ধতার সৃষ্টির পাশাপাশি রাস্তার মাঝখানে হাঁটু সমান গর্ত হয়ে যায়।
এতে রাস্তাটির দিয়ে চলাচলকারী সিএনজি,মাইক্রো, অটোটম টম, ভ্যানগাড়ী মটর সাইকেল, এলাকা বাসী, স্কুল কলেজের ছাত্রছাত্রী ও কমিউনিটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসা রোগীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের যথাযথ নজরদারির অভাবে শত বছরও কাজ হয়নি। অযত্নন আর অবহেলায় পড়ে আছে ধুলিয়া মুসলিম পাড়া সড়ক। দেখলে মনে হয় যেন মরণ ফাঁদ, দেখার কেউ নেই। সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, রাস্তাটির অনেক অংশেই কাদা মাটির উঠে বের হয়ে গিয়েছে।
রাস্তায় সৃষ্ট গর্ত আর খানাখন্দের কারণে রাস্তাটি দিয়ে যানবাহনের পাশাপাশি পায়ে হেটে চলাচল করাও বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বর্ষা আসলেই ধরে কত বছরও কোন কাজ হয়নি অভাবে ভরাট হয়ে গভীরতা কমে রাস্তাটি ড্রেনেজ ব্যবস্থার নাজুক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তায় সৃষ্ট একাধিক গর্তে জমে থাকা পানিতে পায়ে হেটে চলাচলকারীদের পরিধেয় কাপড় চোপড় নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
এ রাস্তা দিয়ে শত শত মানুষ চলাচল করে থাকেন। এখান থেকে শত শত কৃষক বিভিন্ন ফসলাদি নিয়ে বাঙ্গালহালিয়া বাজার সহ বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যায় এমতঅস্থায় খানাখন্দ আর গর্তে ভরা এমন রাস্তায় চলাচলে কষ্টের সীমা থাকে না। স্থানীয় এক বাসিন্দা জসিম উদ্দিন জানান, সামান্য বৃষ্টিতে হাটু পরিমাণ জলবদ্ধতা এই সড়কে এখন নিত্য দিনের চিত্র হয়ে দাড়িয়েছে। এসময় তারা রাস্তাটি দ্রুত এলাকাবাসী দাবি জানান। রাস্তাটি বেহাল দশা জানতে চাই ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নিয়েছি।বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি কমলে শ্রীঘ্রই সংস্কারের কাজ হাতে নিবেন বলে জানান বাঙ্গালহালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আদোমং মারমা।
রাস্তাটি নিম্নমানের জন্য রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।