গাজীপুরের সাংবাদিক তুহিনকে জবাই করে হত্যার দৃষ্টান্তমূলক বিচারসহ দেশব্যাপী সাংবাদিক নিপীড়ন ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সুনামগঞ্জের ছাতকে প্রতিবাদ সভা ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে উপজেলার গোবিন্দগঞ্জ ট্রাফিক পয়েন্টে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) ছাতক শাখার সভাপতি মোশাহিদ আলীর সভাপতিত্বে ও অর্থ সম্পাদক জুনেদ আহমদ রুনুর পরিচালনায় অনুষ্টিত মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ছাতক প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার প্রতিনিধি আনোয়ার হোসেন রনি। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য রাখেন দৈনিক কালবেলার ছাতক প্রতিনিধি সাকির আমিন।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন মানবকন্ঠ পত্রিকার ছাতক প্রতিনিধি ও সংগঠনের নির্বাহী সদস্য এম এইচ খালেদ মিয়া, দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ছাতক প্রতিনিধি প্রভাষক মোশাররফ হোসেন, সংগঠনের সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান মানিক, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফজল উদ্দিন, সহ-সাধারণ সম্পাদক আক্তার হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক তাজিদুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জানে আলম, এশিয়ান টিভির পশ্চিম সিলেটের প্রতিনিধি এ.আর ছায়েম, সমাজকর্মী আলী আহমদ, মোহাম্মদ আলী সহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
উল্লেখ্য যে, গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় গাজীপুর চৌরাস্তায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। বিকেলেই তিনি ফুটপাতে চাঁদাবাজি নিয়ে একটি ফেসবুক লাইভ করেন। কয়েক ঘণ্টা পরই নৃশংসভাবে হত্যা করা হয় তাকে। এই ঘটনা দেশের চাঁদাবাজদের বেপরোয়া ও ভয়ঙ্কর রূপের আরেকটি দৃষ্টান্ত বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।
বক্তারা বলেন, তুহিনের মতো একজন নির্ভীক ও অনুসন্ধানী সাংবাদিককে যেভাবে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা শুধু সাংবাদিক সমাজ নয়, পুরো জাতির জন্যই আতঙ্কের। আমরা বারবার বলেছি, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ছাড়া গণতন্ত্র রক্ষা অসম্ভব। আজ তুহিন, কাল আমরা এবারই শেষবার!’
তুহিন হত্যাকাণ্ড কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এটি ধারাবাহিক দমন-পীড়নের অংশ। সাংবাদিকদের চাকরি হারানো, গুম হওয়া, এমনকি খুন হওয়া—এসব এখন নিত্যদিনের ঘটনা। আমরা আর চুপ থাকব না। সরকার যদি দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না দেয়, তবে আন্দোলন অনিবার্য। প্রতিটি হত্যার বিচারহীনতা নতুন হত্যার পথ খুলে দিচ্ছে। আমরা এর অবসান চাই। তুহিন হত্যার বিচার হতেই হবে।’
মানববন্ধনে মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা এবং এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।