ছবিঃ সংবাদ সারাবেলা।
কিশোরগঞ্জবাসীর দীর্ঘদিনের যানজট ভোগান্তি লাঘব করতে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ৭৩১ কোটি ৩১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যায় শুরু হয় একরামপুর থেকে চামড়া বন্দর ও ছয়না বাইপাস সড়কসহ মোট ২৭.৩ কিলোমিটার প্রকল্পের নির্মাণ কাজ।
১০ডিসেম্বর ২০১৯ সালে প্রায় ৮১ কোটি ৮০ লক্ষ ১০ হাজার টাকা ব্যায় প্রকল্পটির মূল সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করে মেসার্স তাহের ব্রাদার্স, মেসার্স রানা বিল্ডার্স ও মেসার্স মুজাহার এন্টারপ্রাইজ নামের তিন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তবে নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক ও জনপদ বিভাগ।
কিশোরগঞ্জ সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে রাস্তা নির্মাণের জন্য জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে, তবে ভূমি মালিকরা ক্ষতিপূরণের টাকা না পাওয়ায় তাদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
ভূমি মালিকরা জানান, তাদের স্থাপনা, ব্যবসায়ী ক্ষতিপূরন ও জমির ন্যায্যমূল্য থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন। অনেক ভূমি মালিকদের দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও তাদেরকে বাড়ী হিসেবে শ্রেণি ভূক্ত করা হয়েছে। আবার অনেকের বাড়ি থাকলেও বাণিজ্যিক শ্রেণি উল্ল্যেখ করা হয়েছে। আবার কেউর জমি সরেজমিন পরিমাপের চেয়ে পয়েন্ট কম ধরে ফাইল করা হয়েছে। এই দুর্নীতির সাথে ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তারা সরাসরি জড়িত আছেন বলে তারা অভিযোগ করেন।
এদিকে একরামপুর থেকে সতাল পর্যন্ত প্রায় দের কিলোমিটার সড়কের উন্নয়ন কাজ জমি অধিগ্রহণের জটিলতার কারণে আটকে আছে। এতে সাধারণ জনগণ, পথচারি ও যাত্রীরা প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায়। দেখা দিয়েছে ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত। প্রায়ই চলাচলের ক্ষেত্রে অটোরিক্সা উল্টে পড়ে যায়। এতে প্রতিনিয়তই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে অনেকেই। বিশেষ করে গর্ভবর্তী মহিলাদের নিয়ে চলাচল করা অনেক দুষ্কর।
এ বিষয়ে সতাল এলাকার কাজল চন্দ্র দাস বলেন, আমার একটি সেলুন আছে প্রায় ১৮ বছর ধরে। আমি এই সেলুনের টাকা পায়নি। আমাকে বলে আমার নাকি সেলুন নাই। আমাকে বাড়ি শ্রেণিভূক্ত করে গেজেটে উল্লেখ করেছে। অনেকেই আছে যাদের ব্যবসা কোনদিনও ছিল না, তাদেরও বাণিজ্যিক করছে আর আমার দোকান আমাকে বাড়ি লিখছে। এলএ শাখার নিচ থেকে উপর পর্যন্ত সবাই দুর্নীতির সাথে জড়িত। এই কারণেই এই রাস্তার কাজ হচ্ছে না।
একই এলাকার মো. মামুন নামের এক ব্যবসায়ী বলেন, আমি ক্ষতিপূরণ পেয়েছি অনেক কম। এবং আমার যেই জমির মাপ নিছে তার চেয়ে ২০ পয়েন্ট কম লিখছে। তাতে আমি প্রায় ৩০ লাখা টাকা কম পাবো। ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখার কর্মকর্তারা বলেন এটা আর সংশোধন হবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক, এক ব্যবসায়ী বলেন, আমার ৩০ পয়েন্ট জায়গা কম লিখছে। এতে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার জমি হবে। এলএ শাখার কর্মকর্তারা আমার কাছে মোটা অংকের টাকা দাবী করে।
এ বিষয় সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাকিল মো: ফয়সাল বলেন, কিশোরগঞ্জ, করিমগঞ্জ, চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক উন্নীত করণের পাশাপাশি ছয়না যশোদল ও চৌদ্দশত সড়কটি নির্মাণের লক্ষে এ প্রকল্পের কাজ বর্তমানে চলমান আছে। এ প্রকল্পের আওতায় একরামপুর থেকে সতাল পর্যন্ত যে সড়ক নির্মাণ কাজের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এখানে ভূমি অধিগ্রহণের জটিলতার বিষয়টি অনেকাংশে সমাধানের পথে এগুচ্ছে। অনেক স্থাপনাও ভাংচুর করছে। আমরা পরিপূর্ণ জায়টা পেলেই আমরা সড়কের নির্মাণ কাজ শুরু করব।
সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর
যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220
ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।
© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved. Design & Developed By Root Soft Bangladesh