শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার নলকুড়া ইউনিয়নের বারোয়ামারি চৌরাস্তা থেকে আশপাশের কয়েকটি গ্রামের গ্রামীণ সড়ক দীর্ঘদিন ধরে বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। ভাঙা সড়ক, খানাখন্দ, কাদা ও জলাবদ্ধতার কারণে জনদুর্ভোগ এখন চরমে পৌঁছেছে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে দুর্ভোগ আরও প্রকট হয়ে উঠেছে। এলাকাবাসী দাবি করছেন যে রাস্তাটি দ্রুত পাকা করে স্থায়ী সমাধান করা হোক।
স্থানীয়দের এই দাবি, রাস্তাটির বর্তমান অবস্থার কারণে সৃষ্ট দুর্ভোগের কারণে এসেছে। তারা মনে করেন, রাস্তাটি পাকা হলে তাদের দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটবে এবং টেকসই সমাধান হবে। স্থানীয়দের এই দাবির মূল কারণ হল, রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রায় ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে। হয়তো রাস্তাটি কাঁচা বা ভাঙাচোরা হওয়ার কারণে চলাচলে সমস্যা হচ্ছে, অথবা বর্ষাকালে কাদা-পানিতে একাকার হয়ে যায়, যার কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগ বাড়ছে। এই কারণে, এলাকাবাসী রাস্তাটি দ্রুত পাকা করার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে বারোয়ামারি, গজারিপাড়া, মরিয়মনগর, বনকালি ও ভারুয়া গ্রামের কাঁচা রাস্তাজুড়ে বড় বড় গর্ত, ভাঙা অংশ ও কাদার স্তূপে ভরা। প্রতিদিন এই রাস্তা দিয়ে স্কুলপড়ুয়া, কৃষক, দিনমজুরসহ হাজারো মানুষ চলাচল করেন। যানবাহন চলাচল প্রায় অচল হয়ে পড়ায় ভ্যান, অটোরিকশা ও ইজিবাইক চালকরা ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে।
যদি রাস্তাটি পাকা করা হয়, তবে নিম্নলিখিত সুবিধাগুলো হতে পারে: অর্থনৈতিক উন্নতি:রাস্তা ভালো হলে ব্যবসা-বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে উন্নতি হবে।
জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন:রাস্তা ভালো হলে মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।এলাকাবাসীর এই দাবি যৌক্তিক এবং তাদের দুর্ভোগ লাঘবের জন্য দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এলাকাবাসীর দাবি, দ্রুত রাস্তাটি পাকা করে স্থায়ী সমাধান নিশ্চিত করা হোক।
এ বিষয়ে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুল আলম রাসেল বলেন, “আমাদের কাছে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে রাস্তার বিষয়ে লিখিত আবেদন এসেছে। অতি শ্রীঘ্রই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”