মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পায়রা সেতুতে টোল আদায় করছেন সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের পাবিবারিক প্রতিষ্ঠান সিএনএস কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিষ্টেম এর
প্রতিষ্ঠানে কর্মরত লোকজন।
জানা যায়,চলতি বছরের গত ৩১শে জুলাই মেয়াদউত্তীর্ণ হওয়ার পরেও পায়রা সেতুতে সাবেক আইনমন্ত্রীর সিএনএস কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিষ্টেম এর প্রতিষ্টানের লোকজন এখনো বহাল তবিয়তে রয়েছেন, তাই নতুন ঠিকাদারেরা এই টোল প্লাজায় যেতে ভয় পাচ্ছেন ৷
এই টোল প্লাজায় প্রতিদিন ৬-৭ লক্ষ টাকা টোল আদায় হলেও নামে মাত্র সড়ক জনপদের অফিসে টাকা জমা দিচ্ছেন বলে জানা যায় ৷
সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের একজন প্রকৌশলীর যোগসাজসে সাবেক ঠিকাদারের লোকজন এখনো পায়রা সেতু এলাকা দাপিয়ে বেড়চ্ছেন বলে সূত্র জানায়৷
সিএনএস এর প্রজেক্ট ম্যানেজার মোঃ মাইনুল,এডমিন অফিসার মোঃ সোহেল,একাউন্টেন্ট মোঃ খায়ের ও মাসুদ আলমসহ ইমরান,রিয়াজ,আলামীন,তৌফিকুল,সুমন,রাব্বি,নয়ন,মেহেদী,নাইম,আবুল কালাম,সোয়েব,নাহিদ এবং সোয়েব এখনো টোল প্লাজায় টোল সংগ্রহ করে যাচ্ছেন।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এবং স্থানীয় মাধ্যমে জানা যায়,পায়রা সেতুর টোল প্লাজা ব্যবস্থাপনায় বেশ কিছু সমস্যা দেখা গেছে। যার মধ্যে রয়েছে টোল আদায় নিয়ে বিতর্ক, সংঘর্ষ, এবং অর্থ লুটপাটের অভিযোগ।
সিএনএস-এর উপর ন্যস্ত করা এই দায়িত্ব তারা সফল ভাবে পালন করছেন না বলে এলাকাবাসী জানান ৷
২০২২ সালে শেষ দিকে তৎকালীন পটুয়াখালীর সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য কাজী কানিজ সুলতানা হেলেনের পরিবারের কাছে নির্ধারিত টোলের চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায়ের নিয়ে বাকবিতন্ডা এবং মারামারির ঘটনাও ঘটে বলে সূত্র জানায়।
এ বিষয়ে পটুয়াখালী সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ জামিল হোসেন বলেন, পূর্বের সিএনএস কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সিষ্টেম পরিবর্তন করে আরএইচডির নিজস্ব সফটওয়্যারে টোল সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তবে সিএনএস এর মাধ্যমে কর্মরতদের পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা এ বিষয়ে সঠিক কোন উত্তর দিতে পারেন নি এ কর্মকর্তা।
১ হাজার ১১৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার লেবুখালী এলাকায় পায়রা নদীর ওপর ১ হাজার ১৭০ মিটার দীর্ঘ সেতুটি নির্মাণ করে সড়ক বিভাগ। ১৯ দশমিক ৭৬ মিটার প্রস্থের সেতুটি ২০২১ সালের ২৪ অক্টোবর উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।