ঝালকাঠি পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হামলায় গুরুতর আহত হয়েছেন সাবেক শহর যুবদল আহ্বায়ক মিজানুর রহমান ফরাজি (৫৫)। বুধবার (১৩ আগস্ট) শহরের সানাই কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এই হামলা করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয় । তবে হামলার পরপরই ঘটনাটি আড়াল করতে অভিযুক্ত পৌরকর্মীরা উল্টো ঝাড়ু মিছিল বের করে তার গ্রেফতারের দাবি করেন।
স্থানীয় সূত্র জানা যায়, দুই দিন আগে শহরের মসজিদবাড়ি এলাকায় পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা সড়কের পাশে ময়লা ফেলে রাখে। মিজানুর রহমান তার বাসার সামনের ময়লা সরিয়ে নিতে বললে তাদের সঙ্গে বাক-বিতন্ডার এক পর্যায়ে মিজান তাদের একজনকে চড়থাপ্পড় মারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের মাধ্যমে জানা যায়, এর কয়েক ঘণ্টা পর দুপুরে সানাই কমিউনিটি সেন্টারের সামনে পৌরসভার একদল পরিচ্ছন্নতা কর্মী দলবদ্ধ হয়ে মিজানুর রহমানের ওপর হামলা চালায়। লাঠি, লোহার রড, বাঁশ ও পাথর দিয়ে এলোপাতাড়ি আঘাতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রথমে তিনি থানায় যান, পরে তার অবস্থা গুরুতর দেখে সদর থানার ডিউটি অফিসার দ্রুত চিকিৎসার জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠান।
আহতের স্বজনদের অভিযোগ, এটি পরিকল্পিত হামলা। তাদের দায়িত্ব অবহেলা স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কিছু বলা যায় না। ময়লা না নেয়ার প্রতিবাদ করায় তারা তাকে মেরে রক্তাক্ত করেছে। তার অবস্থা আশংকাজনক, অথচ এখন উল্টো নিজেরাই নাটক সাজিয়ে বিক্ষোভ করছে।
মিজানকে হামলা করার পর পৌরসভার পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা ঝাড়ু হাতে শহরে মিছিল বের করে। মিছিল থেকে মিজানের বিচার চাই, গ্রেফতার চাই স্লোগান দিতে দিতে তারা প্রেসক্লাবের সামনে এসে বিক্ষোভ করে। এতে স্থানীয়দের একাংশ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, যারা মারধরের অভিযোগে অভিযুক্ত, তারাই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছে - এতে আসল অপরাধীকে আড়াল করে ভুক্তভোগীকেই দোষী বানানো হচ্ছে।
এ বিষয়ে ঝালকাঠি পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা মোসা. শাহীন সুলতানা বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। শুনেছি মিজানুর রহমান আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের মারধর করেছেন। তবে আমাদের কর্মীরা তাকে মারধর করেছেন কি না, তা আমি জানি না।
ঝালকাঠি পৌরসভার পৌর প্রশাসক মো. কাওসার হোসেন বলেন, মিজান আমাদের এক কর্মীকে মারধর করেছে তাই কর্মীরা তার প্রতিবাদ করেছে।