কুষ্টিয়া শহরের হাউজিং এলাকার একটি ভাড়া বাসা থেকে গৃহবধূ উর্মি খাতুনের (৩০) লাশ উদ্ধারের ঘটনায় তার স্বামী আবু বক্কর সিদ্দিক রানা (৩৫) হত্যার কথা স্বীকার করেছেন।
পুলিশের ভাষ্য, মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেট এলাকা থেকে রানাকে গ্রেপ্তার করে মডেল থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রানা জানান, স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহে ক্ষিপ্ত হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী–স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়ার একপর্যায়ে তিনি উর্মিকে মারধর করে গলাটিপে শ্বাসরোধে হত্যা করেন। এরপর বাইরে থেকে ঘরে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যান।
গত শনিবার (৯ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে হাউজিং এফ ব্লকের ওই বাসা থেকে উর্মির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে লাশ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
পুলিশ জানায়, উর্মি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের মহিম মণ্ডলের মেয়ে। প্রায় পাঁচ বছর আগে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ এলাকার রানা খানের সঙ্গে তার দ্বিতীয় বিয়ে হয়। তারা হাউজিং এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং সিটি কলেজের সামনে একটি কাপড় ও খাবারের দোকান চালাতেন।
নিহতের ভাই আবু সাইদ অভিযোগ করেন, বিয়ের পর থেকেই রানা মাদকাসক্ত ছিলেন এবং একাধিকবার কারাগারে গেছেন। দাম্পত্য জীবনে কলহ ছিল নিয়মিত ঘটনা। এ থেকেই মারধর ও শ্বাসরোধ করে তাঁর বোনকে হত্যা করা হয়েছে।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় হত্যা মামলা হয়েছে। রানাকে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।