বাংলাদেশের অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয় না পারলেও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরাই প্রথম বুঝতে পেরেছে, ‘সব শালারা বাটপার’ এমন মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম।
বুধবার (১৩ আগস্ট) ছাত্র অধিকার পরিষদ জবি শাখা আয়োজিত ‘জুলাই বিপ্লবে জবি অগ্নিকন্যা সম্মাননা ও নবীনবরণ-২০২৫’ অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
নাজমুল ইসলাম বলেন, "২০২৪ সালের অভ্যুত্থানে ১১ জন নারী শহীদ হয়ে হাসিনাকে বিদায় করেছে। আন্দোলনে নারী শিক্ষার্থীদের শুধু হামলাই নয়, যৌন নিপীড়নও করা হয়েছে। স্বায়ত্তশাসিত কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো শিক্ষার্থী শহীদ হয়নি, কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে শহীদ হয়েছে।"
তিনি আরো বলেন, "জুলাই আন্দোলনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। রায় সাহেব বাজার, গুলিস্তান জিরো পয়েন্ট হয়ে আসা মিছিলগুলো আমাদের প্রেরণা গুছিয়েছে। বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় বুঝতে পারেনি কিন্তু জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই প্রথম বুঝতে পেরেছে সব শালারা বাটপার।"
এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল জবি শাখার আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল, শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন, শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম আরিফ, শাখা বাংলাদেশ গনতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক ফয়সাল মুরাদসহ বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।
জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, "জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশ্নে আমরা সবসময় এক ও অভিন্ন হয়ে অতিতে কাজ করেছি, সামনে ও কাজ করে যাব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার এমন কোন ইতিহাস নেই যেখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান নেই। জুলাইয়ের কোটা আন্দোলন থেকে এক দফা দাবি সব জায়গায় জাতীয়তাবাদী আদর্শের অগ্রণী ভূমিকা ছিলো।"
জবি শিবিরের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম আরিফ বলেন, "জুলাইকে বিপ্লব বলার জন্য ছাত্র অধিকার পরিষদকে ধন্যবাদ জানাই। আমরা দেখেছি বিভিন্ন জায়গায় জুলাইকে ছোটখাটো আন্দোলন বা অভ্যুত্থান বলা হয়। কিন্তু আমরা জুলাইকে বিপ্লব হিসাবেই দেখি।"
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর, অধ্যাপক রইছ উদ্দিন, লুৎফুন্নাহার লুমা, রাইসুল ইসলাম নয়ন প্রমুখ।