× প্রচ্ছদ বাংলাদেশ বিশ্ব রাজনীতি খেলা বিনোদন বাণিজ্য লাইফ স্টাইল ভিডিও সকল বিভাগ
ছবি ভিডিও লাইভ লেখক আর্কাইভ

আড়াই শতাধিক মরাগাছে মৃত্যুফাঁদ ক্ষেতলালের সড়ক

ক্ষেতলাল (জয়পুরহাট) প্রতিনিধি।

১৪ আগস্ট ২০২৫, ১৪:২১ পিএম

ছবিঃ সংগৃহীত।

জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার বিভিন্ন সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা আড়াই শতাধিক মরা গাছ এখন স্থানীয়দের জন্য মরণফাঁদ হয়ে দাঁড়িয়েছে। যেকোনো সময় এসব গাছ বা ডালপালা ভেঙে পড়ে বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে এমন আতঙ্ক ও আশঙ্কা নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা। ইতোমধ্যে একাধিক ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটেছে।

ক্ষেতলাল উপজেলার ইটাখোলা- শিড়ট্টি রোড, জয়পুরহাট মোকামতলা সড়কের বটতলী- কালাই রাস্তা, মাহমুদপুর ইউনিয়নের মৌসুমী বাজার থেকে জামালগঞ্জ রাস্তা, ভাসিলা- ফুলদিঘী রাস্তা, করিমপুর ত্রিমুনি-ধনতলা চৌহমুনি রাস্তাসহ আরও কয়েকটি গ্রামীণ রাস্তার দুপাশে আড়াই শতাধিক কড়ই, ইউক্যালিপটাস, আকাশমনি, শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ মরে শুকিয়ে মৃঁত্যু ফাঁদ হয়ে দাড়িয়ে আছে।।গাছের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় সেসব গাছ মরে গেছে অনেক আগেই। 


স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে গাছগুলো শুকিয়ে গিয়েও অপসারণ করা হয়নি। ঝড়-বৃষ্টি বা সামান্য বাতাসেই ডালপালা ভেঙে পড়ছে সড়কে চলাচলকারী পথচারী ও যানবাহনের ওপর। ফলে এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।


প্রতিদিন এসব সড়কে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, রোগী, কৃষিপণ্যবাহী যানবাহন ও সাধারণ মানুষ যাতায়াত করছেন জীবন হাতে নিয়ে কয়েকজন এলাকাবাসী জানান, ইতোমধ্যে একাধিক ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।


ভ্যানচালক আব্দুস সালাম জানান, প্রতিদিন তাকে এই রাস্তায় চলাচল করতে হয় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে। কয়েকদিন আগেই ঝড়ে একটি গাছের ডাল ভেঙে পড়ে এক মহিলা যাত্রীর হাত ভেঙে গেছে। এজন্য তাদের আতঙ্ক আরও বেড়ে গেছে বলে জানান তিনি।


সুজাউল ইসলাম নামের এক যাত্রী বলেন, একটু বাতাস হলেই এই রাস্তা দিয়ে আর চলাচল করা যায় না। না জানি কখন কার মাথার উপর ভেঙে পড়ে। কেন যে এসব গাছ কাটা হচ্ছে না জানি না। দ্রুত এই গাছগুলো কাটা হোক।


গাছের উপকারভোগী অনেকেই জানান, চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে গেলেও এখনও গাছগুলো কাটা হয়নি। বর্তমানে মরা গাছগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে। এতে একদিকে মানুষের ঝুঁকি বেড়েছে, অন্যদিকে গাছগুলোর দেখভাল করেও উপকার ভোগ করতে পারছেন না তারা। আমরা বন কর্মকর্তাকে বলেছি। তারা বলেছে কাটা হবে।


বড়তারা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নুরুল  ইসলাম বলেন, নিশ্চিন্তা টু শিড়ট্টি রোড এবং বটতলী নিশ্চিন্তা রোডে শতাধিক মরা গাছ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় দাড়িয়ে আছে। আর কয়েকটি গাছ রাস্তার উপরে হেলে আছে, বড় লোডগাড়ি যাওয়ার সময় গাড়িতে লাগে। রাতের বেলায় প্রায়ই ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। মরা গাছগুলোর ডাল পালা প্রায়ই ভেঙে পড়ে। ওই রাস্তা দিয়ে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও বন বিভাগের সাথে আলোচনা করে গাছগুলো দ্রুত কর্তনের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


এ ব্যাপারে উপজেলা বন কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মতিউর রহমান বলেন, আপনি যেসব রাস্তাগুলোর কথা বললেন, আমরাও সেগুলো দেখেছি অনেক গাছই মরে পচে আছে। আমরা এসব বাগানের মেজরমেন্টও করেছিলাম। কিন্তু মন্ত্রনালয় থেকে গাছ কাটা নিষিদ্ধ করার জন্য গাছগুলো কাটতে পারছি না। এসব গাছ এখন কাটতে গেলে উপজেলায় রেজুলেশন করতে হবে, জেলায় পাঠাতে হবে। এসবের একটা বিশাল খরচও আছে। এখন গাছগুলো কাটলে এসব খরচ বহন করবে কে? যদি আমাদের রানিং থাকত তাহলে খরচের ব্যপারটা সরকারি খরচে আনা যেত। এ সরকার তো রিস্ক নিতে চাচ্ছে না। একটা নির্বাচিত সরকার আসলে তারা রিস্ক নিতো। তখন আমরা কাজ করতে পারতাম। এখন তো সবাই আছে ইয়া নফ্সি ইয়া নফ্সি। 


ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ আল জিনাত বলেন, আমি বন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি সরেজমিনে গিয়ে এসব গাছ পরিদর্শন করে রিপোর্ট দিলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

Sangbad Sarabela

সম্পাদক ও প্রকাশক: কাজী আবু জাফর

যোগাযোগ: । [email protected] । বিজ্ঞাপন ও বার্তা সম্পাদক: 01894944220

ঠিকানা: বার্তা ও বাণিজ্যিক যোগাযোগ : বাড়ি নম্বর-২৩৪, খাইরুন্নেসা ম্যানশন, কাঁটাবন, নিউ এলিফ্যান্ট রোড, ঢাকা-১২০৫।

আমাদের সঙ্গে থাকুন

© 2025 Sangbad Sarabela All Rights Reserved.